গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সদ্য কারামুক্ত চার কর্মীকে চট্টগ্রামে সংবর্ধনা প্রদান
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
সিএইচটিনিউজ.কম
গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সদ্য কারামুক্ত চার কর্মীকে চট্টগ্রামে জামাল খানস্থ অফিসে আজ ১৫ অক্টোবর বিকালে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। তাদেরকে গত ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১২ পুলিশ ‘চাঁদাবাজি মামলা‘ প্রদান করে বন্দর এলাকার ব্যারিষ্টার কলেজ থেকে আটক করে। এক মাস কারাভোগের পর গত ১১ অক্টোবর চট্টগ্রামের সিএমএম কোর্ট তাদের জামিন মঞ্জুর করলে তারা কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে আসেন। জেএসএস সন্তু লারমার লোকজন তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেয়। কারামুক্ত চারজন হলেন-সুবল চাকমা, রিগ্যান চাকমা, সুভাষ চাকমা ওজসিম চাকমা।
সংবর্ধনা সভায় সভাপতিত্ব করেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি জিকো মারমা। এতে বক্তব্য রাখেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি এডভোকেট ভুলন ভৌমিক, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি সুমেন চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রীনা দেওয়ান। সভা পরিচালনা করেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম চট্টগ্রাম বন্দর থানা শাখার প্রচার সম্পাদক সুলেন চাকমা।
আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, নির্যাতিত নিপীড়িত জাতিসত্তার মুক্তির জন্য যারা লড়াই করে সংগঠন তাদেরকেই সম্মান-সংবর্ধনা প্রদান করে। যারা সংগ্রামী তাদের জেল-জুলুম-হুলিয়া-অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করতে হবে এটাই অবধারিত। কিন্তু জেল-জুলুমের ভয়ে জাতির অধিকারের দায়িত্বভার আমরা ছেড়ে দিতে পারিনা।সকল ভয়ভীতি উপো করে যখনই যুব সমাজ স্বতস্ফূর্তভাবে সংগ্রামে সামিল হবে তখনই লড়াইয়ে বিজয় অর্জন সম্ভব বলে বক্তাগণ মত ব্যক্ত করেন।
এডভোকেট ভুলন ভৌমিক বলেন, মহাজোট সরকার গায়ের জোরে তার নিজের প্রণীত আইনকে লঙ্ঘন করে গণতান্ত্রিক সংগ্রামে যারা নিবেদিত তাদের উপর স্টীম রোলার চালাচ্ছে। পাবত্য চট্টগ্রামের অধিকারকামী সংগঠন ইউপিডিএফ সহ তার অঙ্গ সংগঠনের উপর তাই একের পর এক চলছে সরকারী নিপীড়ন। তারই ধারাবাহিতায় যুব ফোরামের চরজনকে আটক করা হয়েছিল। তিনি এই আটক এবং মিথ্যা মামলা প্রদানকে কাপুরুষোচিত বলে উল্লেখ করেন।
তিনি আরো বলেন, পাহাড়ে সেনা নির্যাতন ও সেনা সেটেলারদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে যুবকদের আরো ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামী ভুমিকা নেয়া প্রয়োজন।
সভায় কারামুক্ত কর্মীবৃন্দ জানান, তাদের আটকের পর কর্তব্যরত বন্দর থানার পুলিশ অফিসার তাদের চারজনকে নির্মমভাবে নির্যাতন চালিয়েছে।