চট্টগ্রামে অপহৃত গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম নেতার মুক্তির দাবিতে মানব বন্ধনে পুলিশের বাধা
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি, সিএইচটিনিউজ.কম
চট্টগ্রামে সন্তু গ্রুপ কর্তৃক অপহৃত গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সদস্য লেনিন চাকমার মুক্তির দাবিতে মানব বন্ধন করতে চাইলে পুলিশ বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক নিকোলাস চাকমার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ ২৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটায় জামাল খানস্থ চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম চট্টগ্রাম মহানগর শাখা এ মানব বন্ধনের আয়োজন করে। উক্ত মানব বন্ধন কর্মসূচীতে সংগঠনটির নেতা-কর্মী ছাড়াও লেনিন চাকমার স্ত্রী স্বপ্না চাকমা তার দুই শিশু কন্যা ও আত্মীয় স্বজনসহ অংশ নিতে চাইলে পুলিশ এসে বাধা দেয়। ফলে মানব বন্ধন হতে পারেনি।
এ সময় স্বপ্না চাকমা তার ১ মাস ২৮ দিন বয়সী কনিষ্ঠ কন্যা প্রতিভা চাকমাকে কোলে নিয়ে প্রেস কাবের সামনে দাঁড়ানোর জন্য একটি প্ল্যাকার্ড ধরেছিলেন। তাতে লেখা ছিল “সন্তু লারমা, আমার স্বামী লেনিন চাকমাকে মুক্তি দিন”।
সন্তু লারমার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আমার স্বামী লেনিনের ভিন্ন রাজনৈতিক মত থাকতে পারে, কিন্তু তিনি কোন অন্যায় করেননি। তারপরও কেন তাকে অপহরণ করা হয়েছে আমি তার জবাব চাই। আমি অবিলম্বে অত অবস্থায় তার মুক্তি দাবি করছি।“
গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি জিকো মারমা ও সাধারণ সম্পাদক টমাস চাকমা এক বিবৃতিতে পুলিশের আচরণকে অগণতান্ত্রিক আখ্যায়িত করে তার নিন্দা জানিয়েছেন।
তারা অবিলম্বে লেনিন চাকমাকে উদ্ধার করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান৷ সরকারের একটি স্বার্থান্বেষী মহল পার্বত্য চট্টগ্রামে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত জিইয়ে রাখতে সন্তু লারমার সন্ত্রাসী গ্রুপকে সহযোগিতা দিচ্ছে এই অভিযোগ এনে তারা বলেন, এরা চায় পার্বত্য চট্টগ্রামে সব সময় অশান্তি বিরাজ করুক, কারণ তখন এই অশান্তির দোহাই দিয়ে তারা সেখানে তাদের উপস্থিতিকে জায়েজ করতে পারে।
উল্লেখ্য গত ২৩ এপ্রিল জেএসএস সন্তু গ্রুপের সন্ত্রাসীরা গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সদস্য লেনিন চাকমাসহ তিন ব্যক্তিকে চট্টগ্রামের দেওয়ান হাটের রঙ্গিপাড়া থেকে অপহরণ করে।
পরদিন অর্থাত্ ২৪ এপ্রিল দুপুর ১২টায় কালায়ে চাকমা ও সুইলাপ্রু খিয়াংকে ছেড়ে দেয়া হলেও লেনিন চাকমাকে এখনো জিম্মি করে রাখা হয়েছে।
অপহরণের পর স্বপ্না চাকমা ২৫ এপ্রিল বাদী হয়ে ডবলমুরিং থানায় জেএসএস সন্তু গ্রুপের সদস্য অজয়, তপন, বিকাশ ও সুমনসহ ৭ – ৮ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। অনেক চেষ্টার পরও পুলিশ এখনো তাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়নি।