Sign in
Sign in
Recover your password.
A password will be e-mailed to you.
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
সিএইচটিনিউজ.কম
চট্টগ্রামের চেরাগি পাহাড়স্থ ইসলামাবাদী মেমোরিয়াল হলে ইউপিডিএফ, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের উদ্যোগে গতকাল ০১ ফেব্রুয়ারি দিনব্যাপী এক কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মী সভায় নগরীর বিভিন্ন এলাকাসহ বান্দরবান, কাউখালী, রাঙামাটি থেকে চার সংগঠনের শতাধিক কর্মী উপস্থিত ছিলেন। কর্মীসভায় সভাপতিত্ব করেন ইউপিডিএফ চট্টগ্রাম অঞ্চলের সমন্বয়ক মিঠুন চাকমা। সভায় বক্তব্য রাখেন ইউপিডিএফ বান্দরবান জেলার সমন্বয়ক ছোটন কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাইকেল চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় সভাপতি সুমেন চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রীনা দেওয়ান, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি জিকো মারমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার আহ্বায়ক সুকৃতি চাকমা, সুমন চাকমা, বিজয় চাকমা, সেবিকা চাকমা প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সিমন চাকমা।
সভার প্রথমে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। ১৯৯৮ সালের পর থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত ইউপিডিএফ এর ২৪৬ জন নেতা-কর্মী-সমর্থক সরকার এবং সন্তু লারমার সশস্ত্র গ্রুপের হাতে খুন হয়েছেন।
এরপরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, চট্টগ্রামে বিগত বছরগুলোতে সন্তু লারমার পান্ডারা সংগঠনের কার্যক্রম স্তব্ধ করতে নানা ধরণের চক্রান্ত করেছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে সংগঠনের কর্মীদের পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিয়েছে। চট্টগ্রামের বন্দর এলাকায় তারা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। ২০১১ সালের ২৩ এপিল তারা লেনিন চাকমা নামে যুব ফোরামের এক সমর্থককে অপহরণ করে। দুই বছরেও তার হদিশ তার পরিবার পায়নি। তারা লোকজনের কাছ থেকে জোরপূর্বক অর্থ কেড়ে নিতো, বিচারের নামে সাধারণ জনগণকে তটস্থ করে রাখত। বিগত এক বছরে তাদের সন্ত্রাসের সীমা ছাড়িয়ে গেলে জনগণের সহযোগিতায় তাদের বিরুদ্ধে পতিরোধ গড়ে তোলা হয়।
কর্মীসভায় নেতৃবৃন্দ পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের সংগ্রাম বেগবান করার জন্য দৈনন্দিন রাজনৈতিক কার্যকলাপে শৃঙ্খলা ও আদর্শকে উর্ধ্বে তুলে ধরার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, একমাত্র পূর্ণস্বায়ত্তশাসন আদায়ের মাধ্যমেই পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রকৃত শান্তি ফিরে আসবে।
নেতৃবৃন্দ নিপীড়ন নির্যাতন করে পার্বত্য চট্টগ্রামের আন্দোলন দমন করা যাবে না বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত কর্মীসভা থেকে নেতৃবৃন্দ আগামীতে চট্টগ্রামে পার্টি ও তিন সংগঠনের কাজ বৃদ্ধির জন্য আরো সক্রিয় ভূমিকা রাখতে কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।