চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের বিক্ষোভ

0
ডেস্ক রিপোর্ট
সিএইচটিনিউজ.কম
 
চট্টগ্রাম : সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল, রাঙামাটিতে সংরক্ষিত বনাঞ্চল ঘোষণার নামে অবৈধ ভূমি বেদখল প্রক্রিয়া বন্ধ ও রামগড়ের ম্রেহ্লা প্রু কার্বারী পাড়া থেকে ৫০ পাহাড়ি পরিবারকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম আজ ২৮ জুন শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টায় চট্টগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।চট্টগ্রাম নগরীর দোস্ত বিল্ডিংয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে সেখানে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন ইউনাইটেড পিপল্‌স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ)-এর চট্টগ্রাম ইউনিটের সংগঠক বকুল চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামে চান্দগাঁও থানা শাখার সভাপতি শুভ চাক ও শ্রমিক নেতা অর্পন চাকমা প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম সহ দেশে বসবাসরত সকল সংখ্যালঘু জাতিসমূহের উপর বাঙালি জাতীয়তা চাপিয়ে দিয়েছে। এর মাধ্যমে সরকার এদেশে বাঙালি ভিন্ন অন্য জাতিগুলোকে পুরোপুরি অস্বীকার করে চলেছে।

বক্তারা বিতর্কিত পঞ্চদশ সংশোধনী বিল পাসের সময় বাঙালি জাতীয়তার পক্ষে ভোট দেয়ায় পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন পাহাড়ি এমপি ও সমতলের সংখ্যালঘু জাতি থেকে নির্বাচিত এমপিদের তীব্র সমালোচনা করে তাদেরকে জাতীয় কুলাঙ্গার হিসেবে আখ্যায়িত করেন।বক্তারা অবিলম্বে বিতর্কিত পঞ্চদশ সংশোধনী আইন বাতিল করে সংখ্যালঘু জাতিসমূহকে নিজ নিজ জাতীয় পরিচয়ে সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবি জানান।

বক্তারা আরো বলেন, রাঙামাটি সহ পার্বত্য চট্টগ্রামে সংরক্ষিত বনাঞ্চল ঘোষণার নামে সরকার পাহাড়িদের হাজার হাজার একর ভূমি বেদখলের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। সরকারের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে কাপ্তাই বাঁধের মতো আবারো হাজার হাজার পাহাড়ি নিজ ভূমি থেকে উচ্ছেদের শিকার হবে। পাহাড়িদের উচ্ছেদ করে বনাঞ্চল সৃষ্টি কোনভাবেই গ্রহণ যোগ্য নয়। পাহাড়ি জনগণ এটা কিছুতেই মেনে নেবে না।

বক্তারা বলেন, আমরা জানতে পেরেছি, খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়ের ম্রেহ্লা প্রু কার্বারী পাড়া থেকে ৫০টি পাহাড়ি পরিবারকে উচ্ছেদ করে সেখানে সেটলার বাঙালি পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র চলছে। অবিলম্বে এ ষড়যন্ত্র বন্ধ করার দাবি জানান বক্তারা। অন্যথায় জনগণকে সাথে নিয়ে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে।

—–

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More