চবিতে ‘জাতীয় ডাক’ পুড়িয়ে দেওয়ায় পিসিপি’র প্রতিবাদ
চবি প্রতিনিধি
সিএইচটিনিউজ.কম
বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আজ সোমবার ১৯ নভেম্বর সংবাদপত্রে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে সন্তু লারমার মদদপুষ্ট কতিপয় ছাত্র কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত পাহাড়ি জনগণের প্রিয় সংবাদ বুলেটিন “জাতীয় ডাক” পুড়িয়ে দেওয়ায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। এ ঘটনাকে ঘৃণ্য ও ন্যাক্কারজনক আখ্যায়িত করে পিসিপি বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি এটিকে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বস্তুনিষ্ট তথ্য থেকে বঞ্চিত রাখার অপচেষ্টা বলে মন্তব্য করেছে।
তরুণ বিকাশ চাকমার স্বাক্ষরিত সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত বিবৃতিতে পিসিপি চবি শাখার নেতৃবৃন্দ আরো বলেছেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জাতীয় ডাক পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা অতীতে সভ্যতা, জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার প্রতি বর্বর প্রতিক্রিয়াশীলদের আক্রমণের কথা মনে করিয়ে দেয়। অতীতে বখতিয়ার খিল্জী কর্তৃক নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি এবং মিশরের বিখ্যাত আলেকজান্ড্রিয়া লাইব্রেরি পুড়িয়ে দিয়ে মানব সমাজের ইতিহাস, সভ্যতা, জ্ঞান-বিজ্ঞান ধ্বংসের প্রচেষ্টা এখনও বিদ্যানুরাগীদের ঘৃণার উদ্রেক করে। খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনীর সহায়তায় মুখোশ বাহিনী কর্তৃক স্থানীয় পাঠাগার হুয়াঙ-বোইও-বা ভাংচুর, তছনছ এবং পার্বত্য চুক্তি পরবর্তী সময়েও সন্তু লারমা মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীদের কর্তৃক খাগড়াছড়ির উক্ত পাঠাগার এবং রাঙামাটিতে অন্য একটি পাঠাগার পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনা মানুষ এখনও ভুলে যায় নি।
উল্লেখ্য, গতকাল রবিবার ১৮ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থিত বিশ্বশান্তি প্যাগোডাস্থ একমাত্র বৌদ্ধ ছাত্রাবাসে অবস্থানকারী ছাত্রদের নিকট থেকে সন্তু লারমার মদদপুষ্ট কতিপয় ছাত্র জোর খাটিয়ে “জাতীয় ডাক” কেড়ে নিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ ঘৃণ্য কাজে অংশ নেয় সুদেব চাকমা, অনিল মারমা, ধন বিকাশ চাকমা, তুর্য্য তালুকদার, মিলন চাকমা সহ বেশ ক‘জন। উক্ত ঘটনা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। ঘটনাকারীদের সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা হেয় চোখে দেখছেন। এমনিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক বস্তুনিষ্ট সংবাদ মেলে না। যা কিছু প্রকাশিত হয় তার মধ্যে বেশির ভাগ সরকারের কথা থাকে। জাতীয় ডাক এদিক দিয়ে ব্যতিক্রমধর্মী বস্তুনিষ্ট একটি সংবাদ বুলেটিন। স্বাভাবিকভাবেই বুলেটিন কেড়ে নিয়ে পুড়িয়ে দেয়ায় পাহাড়ি ছাত্র-ছাত্রীরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।