দুষ্টচক্রের ভণ্ডামির বিরুদ্ধে খাগড়াছড়ি শহরে পোস্টারিং ও লিফলেট বিলি
চুক্তির বর্ষপূর্তিতে শাসকগোষ্ঠীর তথাকথিত সম্প্রীতির কনসার্ট বর্জনের আহ্বান
খাগড়াছড়ি : পার্বত্য চুক্তির ২০ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক আয়োজিত তথকথিত সম্প্রীতির কনসার্ট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে খাগড়াছড়ি শহরে পোস্টারিং ও লিফলেট বিলি করা হয়েছে।
“সম্প্রীতির” আড়ালে ফাঁসির দড়ি, সর্বনাশা কনসার্ট বয়কট করুন!” এই আহ্বানে প্রতিবাদী ছাত্র-যুব সমাজের নামে প্রচারিত একটি লিফলেটে বলা হয়েছে- ‘পার্বত্যচুক্তি একটা মূলা’ বলে প্রকাশ্যে তাচ্ছিল্য করেছিলেন রাঙ্গামাটির এসপি। এরপর কী কারোর বুঝতে বাকী থাকে, কারা এতে লাভবান, আর কারা ক্ষতিগ্রস্ত? এতে বলা হয়, এখন দিবালোকের মত স্পষ্ট, ধূর্ততার সাথে ‘চুক্তি’র ফাঁদে ফেলে শাসকগোষ্ঠী পাহাড়ি জনগণের প্রতিরোধ শক্তি দুর্বল করে দিয়েছিল। এখনো শাসকগোষ্ঠী ‘নব্য মুখোশ’ সৃষ্টিসহ নানা ষড়যন্ত্র চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। বিতর্কিত ‘পার্বত্যচুক্তির’ ২০বর্ষপূর্তিতে সেনাবাহিনী বিজয়োল্লাস করতে আয়োজন করেছে বড় সাধের “সম্প্রীতির কনসার্ট”! এতে কিছু বেহায়া প্রকৃতির লোক বাক বাকুম করছে!! দুর্নীতিগ্রস্ত সেনা কর্মকর্তাদের সাথে নিলর্জ্জভাবে দহরম মহরম করছে নরাধমরা। নামে সম্প্রীতি হলেও কনসার্টের আসল উদ্দেশ্য পাহাড়িদের গলায় ফাঁস পরিয়ে সর্বনাশ করা।
তথাকথিত সম্প্রীতির কনসার্ট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে লিফলেটে বলা হয়, কাজেই আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন কেউ কনসার্টে তামাশা দেখতে যাবেন না। চাকুরির বাধ্যকতার কারণে যারা অনুষ্ঠানে থাকতে বাধ্য হবেন, তারা তামাশা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিন, থু থু দিন!!! নিজেদের বুদ্ধি খাটিয়ে অসহযোগিতা করুন!
ধিক্কার, ঘৃণা, অসহযোগিতা আর বয়কটের মাধ্যমে জাতি ধ্বংসের তামাশা ভণ্ডুল করে দিন! সত্য ও ন্যায়ের জয় অনিবার্য! আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত!
এছাড়াও জেলা পরিষদ গেইট ও এদতসংলগ্ন এলাকাসহ শহরের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে হাতে লেখা পোস্টারিং করা হয়েছে। পোস্টারে লেখা ছিল- কনসার্টের নামে মরণ ফাঁদে পা দেবেন না! উল্লাসে মত্ত রেখে প্রতিবাদী চেতনাকে ধ্বংস করা যাবে না! ইত্যাদি।
________
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।