জননেতা ভাসানীর জীবনী স্কুল পাঠ্যসূচি থেকে বাদ দেয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পার্বত্য সাত সংগঠন
নিজস্ব প্রতিবেদক
সিএইচটিনিউজ.কম
মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর জীবনী ‘পঞ্চম‘ ও ‘অষ্টম‘ শ্রেণীর পাঠ্য পুস্তক থেকে বাদ দেয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামের সাত সংগঠন।
গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম (ডিওয়াইএফ)-এর সভাপতি নতুন কুমার চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি সুমেন চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক থুইক্য চিং মারমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশন (এইচডব্লিউএফ)-এর সভানেত্রী কণিকা দেওয়ান, প্রতিরোধ সাংস্কৃতিক স্কোয়াড (পিএসএস)-এর সদস্য সচিব আনন্দ প্রকাশ চাকমা, সাজেক নারী সমাজ (এসএনএস)-এর সভানেত্রী নিরূপা চাকমা, সাজেক ভূমি রক্ষা কমিটি (এসবিআরসি)-এর সভাপতি জ্ঞানেন্দু চাকমা ও ঘিলাছড়ি নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি (জিএনএনপিসি)-সভানেত্রী সুমিতা চাকমা আজ মঙ্গলবার ১৫ জানুয়ারি সংবাদপত্রে এক যুক্ত বিবৃতিতে এ প্রতিক্রিয়া জানান।
বিবৃতিতে সাত সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ভাসানীর ঐতিহাসিক ভূমিকা এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের ন্যায্য সংগ্রামের প্রতি তার সমর্থনের কথা শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করে স্কুল-কলেজের পাঠ্যসূচিতে তার জীবনী অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান। বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, পশ্চিম পাকিস্তানিদের ‘ওলাইকুম আসলাম‘ জানিয়ে ভাসানী পাঞ্জাবি শাসকদের প্রতি মোহ ভঙ্গের সূচনা ঘটিয়েছিলেন। বলতে গেলে এক অর্থে তখন থেকেই পূর্ব বাংলার জনমনে স্বাধীনতার চেতনা জেগে উঠেছিল। তার মত একজন নিঃস্বার্থ জনদরদী সংগ্রামী জননেতার জীবনী স্কুলের পাঠ্য সূচি থেকে বাদ দেয়া মোটেও সুবিবেচনাপ্রসূত নয়।
সংবাদপত্রে প্রদত্ত বিবৃতিতে তারা মজলুম জননেতা ভাসানী, রুণু খাঁ (ব্রিটিশ আগ্রাসন প্রতিরোধ লড়াইয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রবাদপ্রতিম বীর), সাঁওতাল বিদ্রোহের নায়কদেরসহ এ অঞ্চলে মুঘল, ব্রিটিশ আগ্রাসন ও পাকিস্তানিদের শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে সংঘটিত বহু বীরত্বপূর্ণ ঘটনার বীর-নায়কদের জীবনী ও ইতিহাস স্কুল-কলেজের পাঠ্যসূচিতে আবশ্যকীয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করারও দাবি জানান।
বিবৃতিতে সাত সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সরকারের সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গীর কঠোর সমালোচনা করে আরো বলেন, ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে মুখে ফেণা তুললেও বাস্তবিক অর্থে মতাসীন দল তথা শাসকচক্রই ইতিহাস বিকৃতির মূল হোতা। যার জাজ্জ্বল্য দৃষ্টান্ত হচ্ছে, স্কুলের পাঠ্য সূচি থেকে ভাসানীর মত একজন স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতার জীবনী বাদ দেয়া। নতুন প্রজন্মকে এ অঞ্চলের প্রকৃত ইতিহাস জানতে না দিতে শাসকচক্র তা সুকৌশলে বাদ দিয়েছে।#
………..