জনসংহতি সমিতির অস্ত্র সমর্পণের ১৬ বছর আজ

0

নিজস্ব প্রতিবেদক
সিএইচটিনিউজ.কম
Santu Larma
আজ ১০ ফেব্রুয়ারি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির অস্ত্র সমর্পণের ১৬ বছর পূর্ণ হল। ১৯৯৮ সালের এই দিনে খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে জনসংহতি সমিতির প্রধান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমার নেতৃত্বে শান্তি বাহিনীর সদস্যরা সরকারের নিকট প্রথম দফা অস্ত্র সমর্পণ করেন। এদিন সন্তু লারমা নিজে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এসএমজি তুলে দিয়ে অস্ত্র সমর্পণ সূচনা করেন। বিনিময়ে শেখ হাসিনা সন্তু লারমাকে একটি সাদা গোলাপ উপহার দেন। পার্বত্য চট্টগ্রামে দীর্ঘ দুই যুগের অধিক চলা সশস্ত্র সংগ্রাম সমাপ্ত ঘোষণা করেন সন্তু লারমা।

অস্ত্র সমর্পণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে সেদিন শেখ হাসিনা দম্ভভরে বলেছিলেন, “পার্বত্য জেলা তিনটিতে ডিসি-এসপি থাকবেন, থাকবেন পূর্বের ন্যায় সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী। বাঙালিরা যেমন আছেন, তেমনি থাকবেন। গুচ্ছগ্রামবাসীরাও স্বভূমিতে থাকবেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির পাশাপাশি তাদেরও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা আমরা করবো।”

তিনি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে আরো বলেন, “পার্বত্য এলাকায় পাহাড়ি-বাঙালি সবাই থাকবেন, কোন বাঙালিকে বলপূর্বক প্রত্যাহার করা হবে না।” কিন্তু সেদিন সন্তু লারমাকে indexকোন বক্তব্য দেয়ারও সুযোগ দেয়া হয়নি।

সেদিন সাংবাদিকরা সন্তু লারমার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, …বহুদিন পরে আজ স্বস্তিবোধ করছি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি লোগাঙ গণহত্যা ও কল্পনা চাকমার অপহরণ ঘটনাকে বিতর্কিত বিষয় 
বলেও মন্তব্য করেছিলেন।

পার্বত্য চট্টগ্রামের মু্ক্তি আকাঙ্ক্ষী জনগণ সেদিন এ অস্ত্র সমর্পণ মেনে নিতে পারেনি। জনগণের তিন লড়াকু সংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, পাহাড়ি গণ পরিষদ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন সেদিন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বেষ্টনি ভেদ করে খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে হাজার হাজার দর্শকের সামনে পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের ব্যানার উচিয়ে ধরে ও কালো পতাকা প্রদর্শন করে।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More