জুরাছড়িতে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কাউন্সিল সম্পন্ন : ১৭ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি গঠিত
রাঙামাটি প্রতিনিধি, সিএইচটিনিউজ.কম
রাঙামাটি জেলার জুরাছড়িতে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদেরনতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ ৩০ এপ্রিল ২০১১, শনিবার, দুপুর ১টায় কমিটি গঠনের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে উপস্থিত সকলের সম্মতিক্রমে প্রমোদ কান্তি চাকমাকে সভাপতি, রনেল চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক এবং স্বর্ণবাহু চাকমাকে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করে ১৯ সদস্য বিশিষ্ট জুরাছড়ি থানা কমিটি গঠন করা হয়।
জুরাছড়ি থানা কমিটির বিদায়ী সভাপতি টিটু বিকাশ চাকমার সভাপতিত্ব কমিটি গঠনপূর্ব আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ক্যহাচিং মারমা, রাঙামাটি জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক বাবলু চাকমা, সদস্য ইটন চাকমা, ঢাকা মহানগর শাখার সদস্য বিপাশা চাকমা। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের জুরাছড়ি থানা শাখার বিদায়ী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হেমন্ত চাকমা।
বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের অধিকার প্রতিষ্ঠার ল্যে ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই-সংগ্রাম জোরদার করতে হবে৷ পার্বত্য চট্টগ্রামের চলমান অধিকার আদায়ের আন্দোলনকে ধ্বংস করে দেয়ার ল্যে নানা ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত চালানো হচ্ছে৷ সকল ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত মোকাবেলা করে ছাত্র সমাজকে জাতীয় অস্তিত্ব রার লড়াইয়ে বলিষ্ট ভূমিকা রাখতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, সরকার কখনো উপজাতি, কখনো ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী আবার কখনো আদিবাসী হিসেবে চিত্রিত করে দেশের সংখ্যালঘু জাতিসত্তাসমুহের প্রকৃত পরিচয় মুছে দেয়ার চক্রান্ত করছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম সহ দেশের সকল সংখ্যালঘু জাতিগুলোর নিজ নিজ পরিচয়ে পরিচিত হতে চায়৷ বক্তারা অবিলম্বে সকল সংখ্যালঘু জাতিসত্তাসমূহকে নিজ নিজ পরিচয়ে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেয়ার দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, জুরাছড়ি সহ পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় জেএসএস-এর সন্তু গ্রুপ সশস্ত্র সন্ত্রাস অব্যাহত রেখেছে। সন্তু লারমা আবারো পার্বত্য চট্টগ্রামে রক্তের হোলি খেলায় মেতে উঠেছে। গত ১৩ এপ্রিল রাতে বাঘাইছড়িতে ২ বছরের শিশু অর্কি চাকমা সহ তার পিতাকে গুলি করে খুন করা হয়েছে৷ সরকার সন্তু লারমাকে দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত জিইয়ে রেখে ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে৷ বক্তারা অবিলম্বে এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করে আঞ্চলিক পরিষদের গদি ছেড়ে দিয়ে জনগণের কাতারে এসে অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে সামিল হওয়ার জন্য সন্তু লারমার প্রতি আহ্বান জানান।
বক্তারা অবিলম্বে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের শিক্ষা সংক্রান্ত ৫ দফা দাবি বাস্তবায়ন, পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহারপূর্বক অপারেশন উত্তরণ বাতিল, সেটলারদের পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরে সমতলে সম্মানজনক পুনর্বাসন ও প্রথাগত ভূমি অধিকারের স্বীকৃতির জোর দাবি জানান।