ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক উৎসব বাতিলের দাবি
ডেস্ক রিপোর্ট, সিএইচটিনিউজ.কম
খাগড়াছড়ি জেলা সদরের বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আজ ৩ ডিসেম্বর, শনিবার সংবাদ মাধ্যমে দেয়া এক যৌথ বিবৃতিতে আগামী ৫ – ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক উৎসব বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
বিবৃতি দাতারা হলেন সূর্যশিখা ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অর্ধেন্দু চাকমা, ইয়ংস্টার ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ভূবনেশ্বর চাকমা, পাইওনিয়ার ক্লাবের সভাপতি তড়িৎ আলো চাকমা, হিল স্টার ক্লাবের সভাপতি বিশ্ব জ্যোতি চাকমা, রেগা ক্লাবের সভাপতি রতন চাকমা (চেরী), সালকাতাল ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বলিন্দ্র ত্রিপুরা, সাঙু বোই-ও-তাক-এর সাধারণ সম্পাদক রিপুল চাকমা, জুসাস এর সভাপতি চন্দন দেওয়ান, হুয়াঙ বোই-ও-বা‘র অর্থ সম্পাদক খোকন চাকমা, বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মংসুইথোয়াই চৌধুরী, মারমা উন্নয়ন সংসদের সাধারণ সম্পাদক সাথোয়াই প্রু মারমা, আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুপাল চাকমা, নবীন স্মৃতি সংসদের সদস্য রণিক ত্রিপুরা, সাস্না ক্লাবের সদস্য সাজু মগ, ম্রেংমাঅং ক্লাবের সদস্য থুইহ্লা মারমা প্রমুখ।
বিবৃতিতে তারা বলেন, দেশে বসবাসরত বাঙালি ভিন্ন অন্যান্য জাতিগুলোকে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হিসেবে অভিহিত করা ঠিক নয় এবং এই পরিচিতি তাদের জন্য হেয়কর ও অপমানজনক। একটি সভ্য ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে একটি জাতি অন্য জাতির প্রতি কখনোই এমন আচরণ করতে পারে না।
বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, গত জুন মাসে জাতীয় সংসদে পাশকৃত সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে বাঙালি-ভিন্ন অন্যান্য জাতিগুলোর ওপর বাঙালি জাতীয়তা চাপিয়ে দেয়ার পর এই “ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক উৎসব” আয়োজন তাদের জাতীয় পরিচিতি মুছে দেয়ার বাস্তব পদক্ষেপ ছাড়া আর কিছু নয়। সরকারের উচিত হবে উক্ত পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করে সংবিধানে জাতিসত্তাগুলোর নিজস্ব জাতীয় পরিচিতি ও অধিকারের স্বীকৃতি দেয়া।
বিবৃতিতে তারা বলেন, সকল স্তরের জনগণের আবেদন সত্বেও সরকার যদি তথাকথিত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক উৎসব বাতিল না করে, তাহলে আমরা সেই উৎসব বর্জন করতে বাধ্য হবো। একই সাথে তারা উক্ত উৎসব বর্জনের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জাতিসহ দেশের সকল জাতিসত্তার জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।