রমেল চাকমা মৃত্যুর বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির দাবী
ঢাকায় ফ্যাসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী জাতীয় কমিটির সমাবেশ
ঢাকা: সেনা নির্যাতনে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ নান্যাচর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রমেল চাকমার মৃত্যুর বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে দায়ী সেনা কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে ফ্যাসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী জাতীয় কমিটি। আজ বিকাল ৪টায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে কমিটি আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে এই দাবি জানানো হয়।
ফ্যাসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আকমল হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কমিটির যুগ্ম সম্পাদক হাসিবুর রহমান, সদস্য হাসান ফকরী, এডভোকেট রকিব পারভেজ, ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান, এবং জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ডাঃ ফয়জুল হাকিম, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি পারভেজ লেলিন, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সভাপতি বিনয়ন চাকমা।
অধ্যাপক আকমল হোসেন বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের উপনিবেশ নয়, এ অঞ্চল বাংলাদেশেরই অংশ অথচ সেখানে কার্যত সেনা শাসন চলছে; এই সেনা শাসন তুলে নিতে হবে। তিনি বলেন, রমেল চাকমাকে সেনাবাহিনী আটক করার পর তার বাবা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, কিন্তু মানবাধিকার কমিশন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি; সেটা করলে রমেল চাকমা মারা যেতেন না। ফ্যাসিবাদ ও সা¤্রাজ্যবাদ বিরোধী জাতীয় কমিটির পক্ষ থেকে একটি তথ্যানুসন্ধান দলকে নান্যাচর প্রেরণ করলে স্থানীয় সেনা কর্মকর্তারা তাঁদের রমেল চাকমার পরিবার বা স্থানীয় কারুর সাথে সাক্ষাত করতে না দিয়ে জোর করে চট্টগ্রাম পাঠিয়ে দেয়ার তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন এসব করে অপরাধ ঢাকা যাবে না।
সমাবেশে বক্তারা রমেলের মৃতদেহ জোর করে পরিবারের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে ধর্মীয় ও সামাজিক রীতিনীতি লঙ্ঘন করে দাহ করার কঠোর সমালোচনা করেন। তাঁরা বলেন যেভাবে কমিটির তথ্যানুসন্ধান দলকে গায়ের জোরে নান্যাচর থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে তাতে স্পষ্ট হয়েছে সেনা বাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে রাজনৈতিক অধিকার হরণ ও অপরাধমূলক তৎপরতার সাথে জড়িত হয়েছে।
সমাবেশ থেকে সেনা নির্যাতনে রমেল চাকমার মৃত্যুর বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে দায়ী সেনা কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।