ঢাকায় শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ইউপিডিএফ-এর শ্রদ্ধা নিবেদন

0

ঢাকা রিপোর্টার॥ আজ ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটায় ঢাকায় মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ইউপিডিএফ ও পিসিপি দেশ বরেণ্য সন্তানদের প্রতি সম্মান জানিয়েছে। ভোর হতেই ব্যানার ও পুষ্পস্তবক নিয়ে অপেক্ষমান ইউপিডিএফ ও পিসিপি’র দলটির ব্যানারের ক্যাপশন ছিল “’৭১-এ কুকিছড়াসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিত সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই” “পার্বত্য চট্টগ্রামে পাক হানাদারদের দোসর নব্য রাজাকারদের ব্যাপারে সতর্ক হোন!”–যা বহু সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের ভিড়ে ছিল আলাদা এবং চোখে পড়ার মত। স্বাভাবিকভাবে তা অনুসন্ধিৎসু ব্যক্তিগণের নজর কাড়ে।

’৭১ সালে বিজয়ে দু’দিন আগে পাক হানাদার বাহিনীর দোসর আল বদর ও আল শামস-এর তিনটি ঘাতক গ্রুপ হিট লিস্ট অনুসারে বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীন জাতিকে মেধাশূণ্য করে দেয়া। এ অপরাধ ছিল জঘন্য, যে কোন বিচারের মানদণ্ডে অমার্জনীয়। অথচ আশ্চর্য্যরে বিষয়, শেখ মুজিব তাদের ক্ষমা করে দিয়ে দেশ গঠনের কাজে যোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। পরে আওয়ামী লীগ-বিএনপি’র নোংরা রাজনীতির খেলায়  স্বাধীনতা বিরোধী পাকিস্তানপন্থীরা শেয়ালের মত গর্ত থেকে বের হয় এবং পরিস্থিতির পূর্ণ সদব্যবহার করে। এমনকী দেশের শাসন ক্ষমতারও অংশীদার হয়, দীর্ঘকাল কূটকৌশল খাটিয়ে তারা ক্ষমতার বলয়ে প্রভাব বজায় রাখে। আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনাল গঠিত হলে পাক হানাদার দোসররা গ্রেফতার হয় এবং বিচারে কয়েক জনের ফাঁসিও হয়।

কিন্তু তা সত্ত্বেও মানসিকতা ও ভাবাদর্শের দিক থেকে পাকিস্তানপন্থীরা এখনও দেশ থেকে উৎখাত হয় নি। স্বাধীনতা সপক্ষের দল বলে জাহিরকারী খোদ আওয়ামীলীগের মধ্যেই তাদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে, যা আওয়ামী সমর্থক বুদ্ধিজীবীরা সভা-সমাবেশে প্রায়ই অভিযোগ উত্থাপন করে থাকেন। সরকার-প্রশাসনসহ সেনাবাহিনীর মত রাষ্ট্রীয় সংস্থায় জামাত-শিবিরের লোকজন ঘাপটি রয়েছে বলে পত্র-পত্রিকায় অনেক দিন যাবত লেখালেখি হচ্ছে। এ অভিযোগের সত্যতা মেলে পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতির দিকে তাকালে। এখনও পার্বত্য চট্টগ্রামে পাকিস্তানি কায়দায় দমন-পীড়ন জারি রয়েছে। একশ্রেণীর সেনা কর্মকর্তা আইন আদালত, সংবিধান কোন কিছুর তোয়াক্কা করছে না। এমনকী বিজয় দিবসকে কলঙ্কিত করতে ২০১৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাঙ্গামাটির বগাছড়িতে সেনাবাহিনীর মধ্যকার আইএসআই-এর মদদপুষ্ট পাকিস্তানপন্থী অংশটি পাহাড়িদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে লুটপাট চালিয়েছে। সাম্প্রতিককালে সেনা মদদপুষ্ট সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপের হাতে সাবেক এক ইউপি মেম্বার খুন হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ইউপিডিএফ ও পিসিপি’র “পার্বত্য চট্টগ্রামে পাক হানাদারদের দোসর নব্য রাজাকারদের ব্যাপারে সর্তক হোন!’ এ আহ্বান অত্যন্ত সময়োপযোগী। এ ব্যাপারে সোচ্চার না হলে তার খেসারত দিতে হবে পুরো দেশবাসীকে।
—————-
সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More