তাইন্দং-এ পাহাড়ি গ্রামে সেটলার হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ৮ সংগঠন

0
ডেস্ক রিপোর্ট
সিএইচটিনিউজ.কম
 
পার্বত্য চট্টগ্রামে আন্দোলনরত ৮ পাহাড়ি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আজ ৪ আগস্ট রবিবার এক যুক্ত বিবৃতিতে গতকাল শনিবার মাটিরাঙ্গার তাইন্দং-এ ১০টি পাহাড়ি গ্রামে সেটলার হামলা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও খুনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, এই হামলা পূর্ব পরিকল্পিত। বাজার ও রাস্তার পাশ থেকে উচ্ছেদ করার পর এখন সীমান্ত এলাকা থেকে পাহাড়িদের বিতাড়িত করতেই এই বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়েছে।নেতৃবৃন্দ কামাল হোসেন নামে জনৈক বাঙালি সেটলার অপহৃত হওয়ার খবরকে গুজব ও ভিত্তিহীন আখ্যায়িত করে বলেন, হামলার মিথ্যা অজুহাত সৃষ্টি করতেই উদ্দেশ্যমূলকভাবে এ গুজব ছড়ানো হয়েছে। ইতিপূর্বে ৩১ জুলাই মধ্য রাতে হামলার ষড়যন্ত্র করা হলেও তা ব্যর্থ হয়।

৮ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ হামলার সাথে জড়িত সেটলারদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও শাস্তি, ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়িদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসন, ঘটনা তদন্তে নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন, ভারতে আশ্রয় নেয়া পাহাড়িদের জানমালের নিরাপত্তার গ্যারান্টিসহ ফিরিয়ে আনা এবং আত্মরক্ষার জন্য পাহাড়িদের সশস্ত্র গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী বা ভিডিপি গঠন করে দেয়ার দাবি জানান।

নেতৃবৃন্দ আগামীকাল সোমবার তাইন্দং-এ সেটলার হামলার প্রতিবাদে ইউপিডিএফের ডাকা খাগড়াছড়ি জেলায় সকাল-সন্ধ্যা শান্তিপূর্ণ সড়ক অবরোধ কর্মসূচীর প্রতি তাদের সংগঠনের পূর্ণ সমর্থন ঘোষণা করেন।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি নতুন কুমার চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সভাপতি সোনালী চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি কণিকা দেওয়ান, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি থুইক্যচিং মারমা, সাজেক ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি জ্ঞানেন্দু চাকমা, সাজেক নারী সমাজের সভাপতি নিরূপা চাকমা, ঘিলাছড়ি নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক শান্তিপ্রভা চাকমা ও প্রতিরোধ সাংস্কৃতিক স্কোয়ার্ডের সদস্য সচিব আনন্দ প্রকাশ চাকমা।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More