তাইন্দং ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনে যাওয়া প্রতিনিধি দলের সমালোচনা করেছে ত্রাণ সংগ্রহ ও বিতরণ কমিটি

0
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি,
সিএইচটিনিউজ.কম
খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়িতে সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দের সাথে সাক্ষাত না করে শুধুমাত্র স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সাক্ষাত করায় তাইন্দংয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাওয়া CHT কমিশন ও আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় ককাস-এর প্রতিনিধি দলের কড়া সমালোচনা করেছে তাইন্দং-তবলছড়ি ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য গঠিত ত্রাণ সংগ্রহ ও বিতরণ কমিটি।সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘ত্রাণ সংগ্রহ ও বিতরণ কমিটি’র আহ্বায়ক কিরণ মারমা ও সদস্য সচিব দীপায়ন চাকমা আজ মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে অভিযোগ করে বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে খাগড়াছড়িতে ফেরার পর  গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ত্রাণ সংগ্রহ ও বিতরণ কমিটির নেতবৃন্দ উক্ত প্রতিনিধি দলের সাথে সাক্ষাত করতে চাইলে দলটি সাক্ষাত করতে অসম্মতি জানায়। এছাড়া দলটি খাগড়াছড়ির সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দের সাথেও কোন সাক্ষাত করেনি। নেতৃবৃন্দ প্রতিনিধি দলের এ আচরণের কড়া সমালোচনা করেছেন এবং ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, তাইন্দং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাওয়া প্রতিনিধি দলটি সুশীল সমাজের সাথে কোন প্রকার সাক্ষাত বা আলাপ না করে শুধুমাত্র স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সাক্ষাত করেছেন। যা এখানকার সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দকে হেয় করারই সামিল। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। জাতীয় পর্যায়ে একটি প্রতিনিধি দলের কাছে এ ধরনের আচরণ কিছুতেই কাম্য নয়। নেতৃবৃন্দ প্রতিনিধি দলের এই আচরনের জন্য তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

বিবৃতিতে তারা বলেন, ত্রাণ সংগ্রহ ও বিতরণ কমিটির নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজকে পাশ কাটিয়ে তাদের এই সফরের উদ্দেশ্য নিয়ে এলাকার জনগণের কাছে যথেষ্ট প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে দাড়িয়েছে। তাইন্দং হামলা বিষয়ে এ প্রতিনিধি দলটি কি ধরনের প্রতিবেদন দাখিল করবে তা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৩ আগস্ট খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার তাইন্দং ইউনিয়নে অপহরণ নাটক সাজিয়ে সেটলাররা কয়েকটি পাহাড়ি গ্রামে হামলা, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এতে ৪টি গ্রামে ৩৪টি বাড়ি সহ একটি বৌদ্ধ বিহারের দেশনা ঘর ও একটি দোকান ভস্মীভূত হয়। এছাড়া ১২টি গ্রামের তিন সহস্রাধিক পাহাড়ি ভারতের সীমান্তে ও পানছড়িতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।

এ ঘটনার ১৬ দিন পর গতকাল ১৯ আগস্ট সোমবার CHT কমিশন, জাতীয় সংসদের আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় ককাস ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সমন্বয়ে একটি প্রতিনধি দল তাইন্দং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান। এ প্রতিনিধি দলে ছিলেন CHT কমিশনের সদস্য স্বপন আদনান, ব্যারিষ্টার সারা হোসেন ও খুশী কবীর, আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় ককাসের সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা এমপি, মানবাধিকার কমিশনের সদস্য নিরূপা দেওয়ান এবং তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যু-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ প্রমুখ।

 

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More