তাইন্দং হামলায় জড়িতদের গ্রেফতার-বিচার, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও নিরাপত্তার দাবিতে খাগড়াছড়িতে চার সংগঠনের বিক্ষোভ
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার তাইন্দংয়ে পাহাড়ি গ্রামে হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন এবং নিরাপত্তার দাবিতে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ আজ ৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
“পার্বত্য চট্টগ্রামে উগ্রসাম্প্রদায়িক রাজনীতি বন্ধ কর” এই দাবি সম্বলিত শ্লোগানে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় খাগড়াছড়ি শহরের স্বনির্ভর এলাকার ঠিকাদার সমিতি ভবনের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নারাঙহিয়া, উপজেলা, চেঙ্গী স্কোয়ার হয়ে শাপলা চত্বরের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ মহাজন পাড়ার সূর্যশিখা ক্লাবের সামনে মিছিলটি আটকিয়ে দিলে সেখানেই রাস্তার উপর এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তারা সরকারের সমালোচনা করে বলেন, সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে বার বার প্রতারণা করে চলেছে। ঘটনার পরদিন অর্থাৎ ৪ আগস্ট পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে যথাযথ ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন ও নিরাপত্তার আশ্বাস দিলে ভারতের সীমান্তে পালিয়ে যাওয়া লোকজন গ্রামে ফিরে আসেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত তার কোন কিছুই বাস্তবায়ন করা হয়নি। গতকাল বুধবার সংসদীয় কমিটির একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও তারা ক্ষতিগ্রস্তদের পর্যাপ্ত ত্রাণ ও ক্ষতিপূরণ দেয়নি। প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার যে সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন তাও ক্ষতির তুলনায় নিতান্ত্মই অপ্রতুল। যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সংসদীয় কমিটির দেয়া ত্রাণ গ্রহণ করেনি।
বক্তারা বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়িরা হামলায় পুড়ে দেওয়া ঘরবাড়ি ন্যুনতম ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে পুনঃনির্মাণসহ প্রত্যেক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ন্যুনতম নগদ ৬ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ও ৫ বছরের জন্য রেশনিং ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছে। সরকারকে অবশ্যই এ দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে।