তাইন্দঙে সেটলার হামলায় পালিয়ে যাওয়া অনেকে পানছড়িতে আশ্রয় নিয়েছে
খাগড়াছড়ি : খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার তাইন্দঙে ৩ আগস্টের সেটলার হামলা ও বাড়িতে অগ্নিসংযোগের কারণে প্রাণের ভয়ে পালিয়ে যাওয়া প্রায় ২ শতাধিক পাহাড়ি পরিবার পাশের উপজেলা পানছড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এসব পরিবারের প্রায় ১ হাজার লোকজন পানছড়ির সুবল কার্বারী পাড়া, নবরত্ন পাড়া, রোহিন্দ্র পাড়া ও বেঙা পাড়ায় আশ্রয় নিয়েছেন। এলাকার লোকজন স্বতস্ফূর্তভাবে তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করছেন। এছাড়া আজ দুপুরে পানছড়ি উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের একটি টিম তাদেরকে দেখতে যান এবং কিছু সহযোগিতা প্রদান করেছেন বলে জানা গেছে।
৩ আগস্টের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘সেদিন সেটলার বাঙালিরা তাদের একজন হোন্ডাচালককে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে। পরে বাঙালিরা দা, লাঠি হাতে হোন্ডায় করে আসতে থাকে। স্থানীয় বিজিবি সদস্যরা তাদের কোন প্রকার বাধা না দিয়ে সেটলারদের মারমুখি অবস্থা দেখে ক্যাম্পে চলে যায়। এরপর সেটলার বাঙালিরা পাহাড়িদের বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়া শুরু করে। প্রথমে তারা বান্দরশিং পাড়ায় আগুন লাগিয়ে দেয়। সেটলারদের অপর একটি গ্রুপ বগা পাড়া, সর্বেশ্বর পাড়া সহ কয়েকটি গ্রামে পাহাড়িদের বাড়িঘরে আগুন লাগিযেয়ে দেয়। সেটলারদের হামলার ভয়ে আমরা যে যেদিকে পারি গ্রাম ছেড়ে এক কাপড়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হই। আমরা অনেকে ক্ষেতে কাজ করতে করতে পালিয়ে এসেছি। কিছুই সঙ্গে আনতে পারিনি।’
পানছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান সর্বোত্তম চাকমা তাইন্দঙে সেটলার হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি হামলা ও অগ্নিসংযোগের সাথে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তুমূলক শাস্তির দাবি করেন।