খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র কর্তৃক প্রথম আলোর ফটো সাংবাদিক নীরব চৌধুরীকে মারধরের ঘটনায়

তিন সংগঠনের নিন্দা ও প্রতিবাদ

0

khagrachariখাগড়াছড়ি : বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি)-এর খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি সোনয়ন চাকমা ও সম্পাদক অমল ত্রিপুরা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি দ্বিতীয়া চাকমা ও সম্পাদক চৈতালী চাকমা এবং গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি লালন চাকমা ও সম্পাদক পলাশ চাকমা আজ সোমবার(১৯ ডিসেম্বর) সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক যৌথ বিবৃতিতে খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম কর্তৃক খাগড়াছড়ি জেলার প্রথম আলো পত্রিকার ফটো সাংবাদিক নীরব চৌধুরীকে মারধরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে তিন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন,গতকাল রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় নীরব চৌধুরী পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য চেঙ্গী নদীর রাজ্যমুনীপাড়া এলাকায় অবৈধভাবে বালু তোলার ছবি তুলতে যান। এ সময় অজ্ঞাত এক যুবক ছবি তুললে সমস্যা হবে বলে তাঁকে হুমকি দেন। এরপর যুবকটি দিদার নামের আরে একজনকে মুঠো ফোনে ঘটনাস্থলে চলে আসতে বলেন। দিদার এসে জোরপূর্বক সেখান থেকে নীরবকে মোটর সাইকেলে উঠিয়ে পৌরভবনে নিয়ে এসে পৌর সচিব পারবিন আক্তারে কক্ষে নেওয়া হয়। এরপর মেয়র রফিকুল আলম চাঁদা বাজির অভিযোগ তুলে তাঁকে বেদম মারধর করেন। পরে নীরব চৌধুরীর কাছ থেকে একটি লিখিত অঙ্গীকারনামা নিয়ে দুপুরের দিকে তাঁকে ছেড়ে দেন মেয়র। বর্তমানে নীরব চৌধুরী খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে রফিকুল আলমের মতো প্রভাবশালী দুর্বৃত্তরা সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনেও বাধা সৃষ্টি করছে। এর মাধ্যমে তারা অবৈধ কর্মকান্ড জায়েজ করতে চাইছে। এসব দুর্বৃত্তদের হাতে সাংবাদিক থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ অহরহ এ ধরনের ঘটনার শিকার হলেও প্রশাসন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করার কারণে তারা অপরাধ করেও পার পেয়ে যাচ্ছে।

বিবৃতিতে তিন সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা খাগড়াছড়ি জেলার প্রথম আলো পত্রিকার ফটো সাংবাদিক নীরব চৌধুরীকে মারধরের ঘটনায় জড়িত মেয়র রফিকুল আলম ও তার সহযোগীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে সাংবাদিক থেকে শুরু করে রাজনৈতিক, সামাজিক ও বিভিন্ন পেশাজীবীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।
——————–

সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More