ত্রিপুরায় গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশী সেনাবাহিনীর সদস্য: দাবি ত্রিপুরা পুলিশের

0
ডেস্ক রিপোর্ট
সিএইচটিনিউজ.কম
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার পুলিশ বলছে, অবৈধভাবে সে দেশের একটি গ্রামে ঢুকে তল্লাশী চালানোর অভিযোগে যে বাংলাদেশী নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁর কাছ থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পরিচয়পত্র উদ্ধার করা গেছে। বিবিসি বাংলার খবরে এ তথ্য জানা গেছে।ধৃত মো. মিলন হোসেন দাবি করেছিলেন যে তিনি বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ বাহিনী র‍্যাব-এর সদস্য। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তাঁর পরিচয় সম্বন্ধে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছে।

তবে ভারতের সীমান্তরক্ষা বাহিনী বিএসএফের সঙ্গে এক পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষা বাহিনী বিজিবি ঐ ব্যক্তির সঙ্গে কোনও বাংলাদেশী বাহিনীর যোগ থাকার কথা অস্বীকার করেছে এবং মি. হোসেনকে ফিরিয়ে নিতেও চায় নি।

ভারতীয় গ্রামে অনুপ্রবেশের অভিযোগে মি. হোসেনকে দু’সপ্তাহ জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ত্রিপুরার আদালত।

ত্রিপুরার পুলিশ বলছে, সিপাহীজলা জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া রহিমপুর গ্রামে তল্লাশী চালানোর জন্য ৬/৭ জনের একটি সশস্ত্র দল প্রবেশ করে শনিবার।

গ্রামটি কাঁটাতারের বেড়ার বাইরে, কিন্তু ভারতীয় সীমান্তের ভেতরেই অবস্থিত। সাদা পোষাকের ওই দলটিকে প্রতিহত করেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারিন্টেডেন্ট তিমির দাস বিবিসিকে বলেন, “দলের অন্যরা পালিয়ে গেলেও গ্রামের মানুষের হাতে ধরা পড়ে যান মো. মিলন হোসেন নামের ঐ ব্যক্তি৻ প্রথমে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও পরে আমরা মি. হোসেনকে নিজেদের হেফাজতে নিই। জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে ধৃত ব্যক্তি নিজেকে বাংলাদেশ র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের সদস্য বলে দাবি করেন এবং পুলিশকে জানান যে নিষিদ্ধ ফেন্সিডিলের খোঁজেই তল্লাশী চালানো হচ্ছিল।”

“আমরা কোনও অস্ত্র পাই নি। তবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটা পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে যেখানে মি. হোসেনের ছবি রয়েছে, আর পদ লেখা রয়েছে সৈনিক,” তিমির দাস বলেন, ”কিন্তু তিনি জেরায় নিজেকে র‍্যাব-এর সদস্য বলে দাবি করেছেন। তবে তিনি এখনও বাহিনীতে কর্মরত রয়েছেন কী না – সেটা আমরা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছি।”

ওদিকে, বিএসএফের কর্মকর্তারা বলছেন, মি. হোসেন যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য ছিলেন, সেই প্রমাণ তাঁরাও পেয়েছেন। কিন্তু এখনও কর্মরত রয়েছেন, না র‍্যাব-এর সূত্র হয়ে তিনি কাজ করছিলেন, সেটা নিশ্চিত করার চেষ্টা হচ্ছে।

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ত্রিপুরা সীমান্তের কর্মকর্তারা আরও জানান যে মিলন হোসেনকে আটক করার পরে তাঁরা বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশকে পতাকা বৈঠকে আমন্ত্রণ করেছিলেন।

কিন্তু সেই বৈঠকে বাংলাদেশী বাহিনী জানিয়ে দেয় যে ধৃত মি. হোসেন তাঁদের দেশের কোনও বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত নন। তাই তাঁকে ফিরিয়েও নিতে অস্বীকার করে বিজিবি। (সূত্র: বিবিসি বাংলা)

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More