দিঘীনালায় বিজিবি হেডকোয়ার্টার স্থাপনের নামে পাহাড়িদের জমি বেদখলের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে তিন সংগঠনের বিক্ষোভ

0
দিঘীনালা প্রতিনিধি
সিএইচটিনিউজ.কম
 
 
দিঘীনালা: খাগড়াছড়ির দিঘীনালা উপজেলাধীন ৪নং দিঘীনালা ইউনিয়নের ২নং বাঘাইছড়ি এলাকার সন্তোষ কার্বারী পাড়া ও চন্দ্র কার্বারী পাড়ায় বিজিবি হেডকোয়ার্টার স্থাপনের নামে সেনাবাহিনী কর্তৃক পাহাড়িদের জমি বেদখলের প্রতিবাদে গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি) ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন আজ ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার খাগড়াছড়িতে বিক্ষো মিছিল ও সমাবেশ করেছে।খাগড়াছড়ি শহরের স্বনির্ভর বাজার হতে আজ বুধবার বেলা ২:৩০টায় একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি নারাঙহিয়ে, উপজেলা পরিষদ এলাকা হয়ে মহাজন পাড়ার সূর্যশিখা ক্লাবের সামনে থেকে ঘুরে চেঙ্গী স্কোয়ারে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি উমেশ চাকমার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সদস্য জিকো ত্রিপুরা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শিখা চাকমা। পিসিপি’র খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বিপুল চাকমা সমাবেশ পরিচালনা করেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বিরাজমান পরিস্থিতির কারণে ১৯৮৯ সালে উক্ত দুই গ্রামের বসবাসরত পাহাড়িরা ভারতে শরণার্থী হয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। এ সুযোগে সেনাবাহিনী পাহাড়িদের জায়গা-জমি বেদখল করে ফেলে। পার্বত্য চুক্তির পর ২০ দফা প্যাকেজ চুক্তির আওতায় পাহাড়িরা ফিরে আসলেও সেনাবাহিনীর বাধার কারণে তারা নিজ জায়গায় ফিরে যেতে পারছে না।

বক্তারা আরো বলেন, গত ২৩ সেপ্টেম্বর পাহাড়িরা নিজ জমিতে ঘরবাড়ি তুলতে গেলে বাবুছড়া ক্যাম্পের সেনারা বাধা দেয় ও নির্মাণাধীন ঘরগুলো ভেঙে দেয়ার চেষ্টা করে। এতে প্রতিবাদ করলে সেনারা পাহাড়িদেরকে মারধর করে। এতে স্মৃতি চাকমা নামে একজন আহত হয়। বক্তারা সেনাবাহিনীর এ ভূমি দস্যুতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ভারত প্রত্যাগত জুম্ম শরণার্থীদের জায়গা ফিরিয়ে না দিয়ে সেখানে বিজিবি হেডকোয়ার্টার স্থাপনের ষড়যন্ত্র চলছে। উক্ত জায়গায় বিজিবি হেডকোয়ার্টার স্থাপন করা হলে ভারত থেকে ফিরে আসা পাহাড়িরা একেবারে নিঃস্ব ও ভূমিহীন হয়ে পড়বে।

বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী ভূমি দস্যু ও দখলদার বাহিনীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। পাহাড়িদের অধিকার কেড়ে নিয়ে তাদেরকে নিজ ভুমি থেকে উচ্ছেদ করার লক্ষ্যেই সেনাবাহিনী তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। যার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা ঘটছে।

বক্তারা অবিলম্বে সেনাবাহিনী কর্তৃক বেদখলকৃত জায়গা পাহাড়িদের ফিরিয়ে দেওয়া, বিজিবি হেডকোয়ার্টার স্থাপানের নামে ভূমি বেদখলের ষড়যন্ত্র বন্ধ করা, পাহাড়িদের প্রথাগত ভূমি অধিকারের স্বীকৃতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনা শাসন তুলে নেয়ার দাবি জানান।

 

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More