দিঘীনালায় জেএসএস কর্মীর মারধরের শিকার হয়ে এক গ্রাম প্রধানের মৃত্যুর অভিযোগ
দিঘীনালা প্রতিনিধি, সিএইচটিনিউজ.কম
খাগড়াছড়ির দিঘীনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের বিষ্ণু কার্বারী পাড়ায় (হাজা পাড়া) জেএসএস(এমএন লারমা)-এর কর্মীর মারধরের শিকার হয়ে এক গ্রাম প্রধানের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই গ্রাম প্রধানের নাম বাজন কুমার ত্রিপুরা(৭৮), পিতা-মৃত যুুগ্যচন্দ্র ত্রিপুরা। গত ১৯ মার্চ মারধরের শিকার হয়ে অসুস্থ হলে আজ শুক্রবার(২৮ মার্চ) তিনি মারা গেছেন বলে পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বিষ্ণু কুমার কার্বারী পাড়ার তিন গ্রামবাসীর মধ্যেকার জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ মীমাংসার লক্ষ্যে গত ১৯ মার্চ এক সালিশী বৈঠকে জেএসএস(এমএন লারমা) কর্মী ও বিষ্ণু কার্বারী পাড়ার বাসিন্দা বিদ্যা ভূষণ ত্রিপুরা ওই গ্রামের প্রধান(কার্বারী) বাজন কুমার ত্রিপুরাকে বেদম মারধর করে। এর ফলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় আজ ২৮ মার্চ শুক্রবার নিজ বাড়িতে ওই গ্রাম প্রধানের মৃত্যু হয়েছে।
বাজন কুমার ত্রিপুরার ছেলের সাথে কথা বলে জানা যায়, বেশ কয়েকদিন ধরে গ্রামের স্বাধীন ত্রিপুরা, পুল ত্রিপুরা ও চাতু ত্রিপুরার মধ্যে একটা টিলার জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ সমস্যাটি মীমাংসার লক্ষ্যে বিরোধপূর্ণ জায়গার দাবিদার তিন গ্রামবাসী ও গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে তাঁর পিতা বাজন কুমার ত্রিপুরা গত ১৯ মার্চ এক সালিশ বৈঠক ডাকেন। এতে উপস্থিত দুই তৃতীয়াংশের মতামতের ভিত্তিতে তাঁর পিতা পুল ত্রিপুরার পক্ষে রায় দিতে গেলে হঠাৎ করে জেএসএস কর্মী বিদ্যা ভূষণ ত্রিপুরা সালিশ বৈঠকে উপস্থিত হয়ে কোন কিছু জিজ্ঞাসা ছাড়াই তাঁর পিতাকে মারধর করতে থাকে। এক পর্যায়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ ঘটনার পর জেএসএস’র উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে চিকিৎসা খরচ বাবদ ৫০০ টাকা দেওয়া হয় বলে তিনি জানান। কয়েকদিন ধরে অসুস্থ অবস্থায় থাকার পর আজ শুক্রবার তাঁর পিতা মারা যান বলে তিনি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে এখনো থানায় কোন অভিযোগ দাখিল করা হয়নি বলে জানা গেছে।