ধিক এদের! তাদের মুখে থুথু দিই!!!

0

সিএইচটিনিউজ.কম
গতকাল সোমবার “জাতিগত বিভেদ-বিবাদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলুন- সচেতন ছাত্র সমাজ” শিরোনামে প্রকাশিত খবরে মংসা প্রু মারমা নামে এক ব্যক্তি একটি মন্তব্য করেন। তাঁর মন্তব্যটি যুক্তিযুক্ত ও যুগোপযোগী হওয়ায় হুবহু প্রকাশ করা হলো:

Mongsa Prue Marma
মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৪; ১২:৩৫ অপরাহ্ন
খাগড়াছড়ির সচেতন ছাত্র সমাজের মানববন্ধনের চেতনার সাথে সংহতি ও একাত্মতা ঘোষণা করছি। এটি সময়োচিত পদক্ষেপ, ধন্যবাদ আয়োজকদের। চিং সা মং আমাদের জাতি ভাই, শিক্ষক হবার কারণে ছাত্র-ছাত্রীর কাছে বা সমাজেও প্রিয় ব্যক্তি হয়ে থাকবেন। তার অকাল মৃত্যু আমাদের ভীষণ ব্যথিত করে। অন্তর থেকে শোক প্রকাশ করি। তাকে তো আর আমরা ফিরিয়ে আনতে পারবো না, এ বাস্তবতা উপলদ্ধি করার বিচারবোধ তো আমাদের থাকতে হবে।Mongsapru comment

কিন্তু তার মৃত্যুর জন্য গোটা একটি সম্প্রদায়কে দোষী সাব্যস্ত করা, তাদের দোকানপাট ও বসতবাড়িতে ঢিল ছুঁড়ে ধ্বংস করা কিসের আলামত? এ তো ক’বছর আগে রাঙ্গামাটির বনরূপায় পাহাড়িদের ওপর হামলা ও নির্বিচারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত করার ঘটনা মনে করিয়ে দেয়। চিং সা মং’কে তো আর মিলনপুর-মধুপুরের লোকজন মারে নি, তাকে অন্য কোন ক্ষতিও তো করে নি। তারাও তো একইভাবে নির্যাতিত, এটা কি একবারের জন্য মনে পড়ে নি? মানিকছড়িতে মারমা নারীকে বাড়িতে ধর্ষণ শেষে খুন ও ভূমি বেদখলের প্রতিবাদে পাশে দাঁড়িয়েছে কারা? মারমা সম্প্রদায়ের বিপদে এগিয়ে আসবে কারা, কারা মারমা সম্প্রদায়ের প্রকৃত বন্ধু হতে পারে, এ বাস্তবজ্ঞান দালাল-প্রতিক্রিয়াশীলদের না থাকলেও সাধারণ মারমাদের নিশ্চয় আছে। সরকার জেলা পরিষদর সদস্যপদের সংখ্যা বাড়িয়ে মাংসের টুকরা ঝুলিয়ে রেখেছে, তা চিং সা মং-এর মৃত্যুকে সাম্প্রদায়িক রূপ দেবার মাধ্যমে আরো স্পষ্ট হলো। লাঠিশোঠা নিয়ে মিছিল, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে মারমা সমাজের কুলাঙ্গাররা আসলে জেলা পরিষদের সদস্যপদ লাভের আশায় তাদের প্রভুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছে। ধিক এদের! তাদের মুখে থুথু দিই!!!
—————-
সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More