নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রশ্নে রুল
ইত্তেফাক রিপোর্ট।।
নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান শর্তসূমহ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না-এই মর্মে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। রুলে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ এর ৯০ (খ), ১২ (৩) (ক) এবং রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালার ৬ (ঞ) বিধি কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিব ও নির্বাচন কমিশনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। বিচারপতি তারিক-উল হাকিম ও বিচারপতি এম ফারুকের ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল বুধবার এই আদেশ দেন।
গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের ১২ (৩) (ক) ধারায় বলা হয়েছে, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের বাইরে যদি কোনো ব্যক্তি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়, সেক্ষেত্রে ওই প্রার্থীর নির্বাচনী এলাকায় মোট ভোটারের এক শতাংশ ভোটারের নাম, স্থায়ী ঠিকানা এবং স্বাক্ষরসহ তালিকা জমা দিতে হবে। রিটার্নিং কর্মকর্তা কমপক্ষে তালিকাভুক্ত ১০ জন ভোটারের কাছে প্রার্থীকে সমর্থনের সত্যতা যাচাই করবেন।
বিধিমালার ৬ (ঞ) এ তে বলা হয়েছে, ১. দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কোনো জাতীয় নির্বাচনের আগ্রহী দলটি যদি অন্তত একটি সংসদীয় আসন পায় অথবা যে কোনো একটি নির্বাচনে দলের প্রার্থী যদি সংশ্লিষ্ট আসনে পড়া মোট ভোটের ৫ শতাংশ পায় অথবা দলটির যদি একটি সক্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়, দেশের কমপক্ষে এক তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলায় কার্যকর কমিটি এবং অন্তত ১০০টি উপজেলা/মেট্রোপলিটন থানায় কমপক্ষে ২০০ ভোটারের সমর্থন সম্বলিত দলিল থাকে।
এসব শর্তসমূহের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। শুনানিতে তিনি বলেন, এসব শর্তসমূহের কারণে নতুন নতুন রাজনৈতিক দলের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। যেসব শর্তসমূহ দেওয়া হচ্ছে তা পূরণে অনেক দল মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছে। এসব শর্ত সংবিধান পরিপন্থি। ব্যারিস্টার হুদা বলেন, স্বাভাবিকভাবে নিবন্ধন দেওয়া হলে দেশে গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটবে। এসব শর্তসমূহ বিদ্যমান থাকলে তা পূরণ করে নিবন্ধন পেতে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষে সম্ভব নয়। সেজন্য শর্তগুলো তুলে দেওয়া দরকার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম। শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল জারি করে।
খবরের লিঙ্ক: http://www.ittefaq.com.bd/print-edition/second-edition/2017/08/24/218571.html