নানিয়াচরের বুড়িঘাট ইউনিয়নে ভূমি বেদখল প্রচেষ্টা থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইউপিডিএফের উদ্বেগ প্রকাশ
রাঙামাটি প্রতিনিধি।। ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) রাঙামাটি জেলা ইউনিটের সংগঠক সচল চাকমা আজ ১৪ ডিসেম্বর ২০১৬ বুধবার এক বিবৃতিতে জেলার নানিয়াচর উপজেলায় বুড়িঘাট ইউনিয়নে সেটলার কর্তৃক বারংবার ভূমি বেদখল প্রচেষ্টা ও তা থেকে উদ্ভূত অবনতিশীল পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘গত ৮ ডিসেম্বর বুড়িঘাট ইউনিয়নে মারমা অধ্যুষিত পলিপাড়ায় সেটলাররা পাহাড়িদের জমি বেদখল করতে গেলে সাংঘর্ষিক পরিস্থিতির সূত্রপাত হয়। এরপর আজ বুধবার সকাল আটটার দিকে ৫০-৬০ জনের একদল সেটলার আবার বুড়িঘাট বাজারের কাছে উত্তর হাতিমারায় পাহাড়িদের মালিকানাধীন জমি বেদখল করতে যায় এবং জমিতে ঝোপঝাড় পরিস্কার করতে থাকে। এক পর্যায়ে পাহাড়ি গ্রামবাসীরা সংঘবদ্ধ হয়ে বাধা প্রদান করলে তারা চলে যেতে বাধ্য হয়। তবে দুপুরের দিকে তারা আবার একটি বিশেষ বাহিনীর সাহায্য নিয়ে ফিরে আসে এবং উত্তর হাতিমারায় পাহাড়িদের বসতিতে হামলা চালায়। গ্রেফতার ও নির্যাতনের ভয়ে পাহাড়িরা এখন এলাকা ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘পাহাড়িদের সৃজিত আনারস বাগান ধ্বংস এবং জোরজবরদস্তি করে পাহাড়িদের জমি বেদখল প্রচেষ্টার সাথে থাকার পরও প্রশাসন সেটলারদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো পাহাড়ি ভূমি মালিক ও ভূমি বেদখলে বাধা প্রদানকারীদের গ্রেফতার ও হয়রানি করছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করছে। গত ১২ ডিসেম্বর জমি বেদখলে বাধা দেয়ার কারণে পাঁচ জন পাহাড়িকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
ইউপিডিএফ নেতা ভূমি বেদখল প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ‘একটি বিশেষ মহল বাঙালি সেটলারদেরকে ভূমি বেদখলে উস্কে দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তুলতে চাইছে, বুড়িঘাটের ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ।’
তিনি অবিলম্বে ভূমি বেদখল বন্ধ, বেদখল প্রচেষ্টার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তি এবং আটককৃত নিরীহ গ্রামবাসীদের মুক্তি দেয়ার দাবি জানান।
——————
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।