নান্যাচরের দাজ্যাপাড়ায় সেনাবাহিনী কর্তৃক দুই নারীকে মারধর ও টাকা-স্বর্ণালংকার লুটের অভিযোগ
নান্যাচর প্রতিনিধি ॥ রাঙামাটির নান্যাচর উপজেলার সাবেক্ষ্যং ইউনিয়নের দাজ্যা পাড়ায় সেনাবাহিনী কর্তৃক দুই পাহাড়ি নারীকে মারধর ও ৬ গ্রামবাসীর বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে টাকা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল সেট লুট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) ভোর সকালে একদল সেনাবাহিনীর সদস্য দাজ্যা পাড়ায় গিয়ে অতর্কিতে উপর্যুপুরি ব্রাশ ফায়ার করে। এতে হঠাৎ গুলির শব্দে গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় তারা কোন কিছু বুঝতে না পেরে প্রাণের ভয়ে যে যেদিকে পারে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। সেনা সদস্যরা সারাদিন সেখানে অবস্থান করে আতঙ্কজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করার ফলে লোকজন আর বাড়িতে ফিরতে সাহস করেনি। এ সময় সেনারা গ্রামের বাসিন্দা দুই নারীকে পেয়ে ধরে লাঠিসোটা দিয়ে মারধর ও বন্দুকের বাট দিয়ে আঘাত করেছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।
মারধরের শিকার নারীরা হলেন- বীতিকা চাকমা (২৩), স্বামী ঋতু চাকমা ও গোপাদেবী চাকমা(৩৫), স্বামী পরাণ্যা চাকমা।
সেনা সদস্যরা সেখানে অবস্থানকালে লোকজনের অনুপস্থিতিতে বিভিন্ন জনের বাড়ি তল্লাশি চালায়। এ সময় সেনারা উক্ত গ্রামের বাসিন্দা অনন্ত চাকমা (৫৫), পিতা মৃত পরাণ্যা চাকমার বাড়ি থেকে ৪০ হাজার টাকা, সাড়ে ৪ আনা পরিমাণ সোনা ও ১ ভরি পরিমাণ রূপা; রঞ্জন চাকমা (৪৩), পিতা মৃত রসিক কুমার চাকমার বাড়ি থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকা; শান্ত মারমা (৩৫), পিতা মৃত উহ্লা প্রু মারমার বাড়ি থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা; শশী রঞ্জন চাকমা (৫৫), পিতা মৃত পরাণ্যা চাকমার বাড়ি থেকে ১ হাজার টাকা ও জলিল চাকমা (৪৫), পিতা মৃত পরাণ্যা চাকমার বাড়ি থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা এবং রূপায়ন চাকমা (৬০), পিতা মৃত কৃষ্ণ চাকমার বাড়ি থেকে নোকিয়া মোবাইল ফোন সেট ১টি লুট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সেনারা সারাদিন সেখানে অবস্থান করার পর সন্ধ্যার দিকে চলে গেলেও লোকজন এখনো আতঙ্কে রয়েছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
এদিকে গতকাল দুপুরে আটককৃত দুই গ্রামবাসী বিন্দু কুমার চাকমা (৪৫) ও দয়ানীতি চাকমা(৩৫)-কে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
————————
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।