নান্যাচরে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে সেনা হামলার প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে তিন সংগঠনের বিক্ষোভ

0

খাগড়াছড়ি : অপহৃত হিল উইমেন্স ফেডাারেশনের দুই নেত্রীকে উদ্ধারের দাবিতে নান্যাচরে আয়োজিত গণসমাবেশে সেনাবাহিনীর নগ্ন হামলা ও প্রগতিশীল ছাত্র-নারী নেতৃবৃন্দকে আটকের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), হিল উইমেন্স ফেডারেশন (এইচডব্লিউএফ) ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম (ডিওয়াইএফ) খাগড়াছড়ি জেলা শাখা।

আজ শুক্রবার (৩০ মার্চ ২০১৮) বিকাল ৪টায় মিছিলটি খাগড়াছড়ি জেলা সদরের স্বনির্ভরের ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে নারাঙহিয়া রেড স্কোয়ার ও সাংস্কৃতিক ইনিস্টিউটের সামনে গিয়ে আবার স্বনির্ভরে গিয়ে শহীদ অমর বিকাশ চাকমা সড়কে এসে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে পিসিপি খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সদস্য রতন চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের জেলা সভাপতি দ্বিতীয়া চাকমা ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি তপন চাকমা।

বক্তারা নান্যাচরে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, গত ১৮ মার্চ সেনাবাহিনী লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসী কর্তৃক অপহৃত হিল উইমেন্স ফেডারেশনের দুই নেত্রীকে উদ্ধারের দাবিতে আজকে নান্যাচরে শান্তিপূর্ণ গণসমাবেশ শুরু হওয়ার আগে সেনাবাহিনী অংশগ্রহণকারীদের উপর নগ্ন হামলা করে ৮ জনকে আটক করে ক্যাম্প নিয়ে গেছে। অপহরণের ১২ দিনেও উদ্ধার তৎতপরতা না চালিয়ে উল্টো উদ্ধারের দাবিতে আয়োজিত শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলা চালিয়েছে। তারা বলেন, আজ যারা হামলা ও প্রগতিশীল নারী ও ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে হেনস্থা করেছে তারাই হিল উইমেন্স ফেডারেশনের দুই নেত্রীকে অপহরণের ঘটনায় জড়িত তা প্রমাণিত হয়েছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, সারাদেশে কার্যত কোন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা আর নেই। ফলে দেখা গেছে তনু হত্যাসহ যে সকল ঘটনায় সেনা-আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা জড়িত সেই সকল ঘটনায় কোন ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা হয়নি।

বক্তারা অবিলম্বে অপহৃত হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নেত্রী মন্টি ও দয়াসোনা চাকমাকে উদ্ধার, সমাাবেশ হামলার সাথে জড়িত সেনাদের আইনের আওতায় আনা, গণতান্ত্রিক মিছিল মিটিঙে সেনা-প্রশাসনের নগ্ন হস্তক্ষেপ বন্ধ করা এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তি-সমাধানের জন্য পূর্ণস্বায়ত্তশাসন মেনে নিয়ে সেনা-সেটলার প্রত্যাহারের দাবি জানান।
——————
সিএইচটিনিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More