নান্যাচরে সন্তু গ্রুপের ব্রাশ ফায়ারে এক ইউপিডিএফ সদস্য আহত
রাঙামাটি প্রতিনিধি
সিএইচটিনিউজ.কম
রাঙামাটির নান্যাচর উপজেলার ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের রামহরি পাড়ায় আজ ৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০টার সময় সন্তু গ্রুপের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ব্রাশ ফায়ারে ইউপিডিএফ সদস্য ভূবনজয় চাকমা ওরফে ডিকশন(৩০) পিতা- আনন্দ বিলাস চাকমা গুরুতর আহত হয়েছেন।
জানা যায়, আজ বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০টার সময় নান্যাচর উপজেলার ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের রামহরি পাড়ায় আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সন্তু লারমার লেলিয়ে দেয়া সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ইউপিডিএফ কর্মীদের উপর সশস্ত্র হামলা চালায়। এ সময় ইউপিডিএফ কর্মীরা ঐ পাড়ার একটি দোকানে বসে সাংগঠনিক কাজ করছিলেন। সন্ত্রাসীরা অতর্কিতে ব্রাশ ফায়ার করলে ইউপিডিএফ কর্মীরা পালানোর চেষ্টা করেন। সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে ব্রাশ ফায়ার করতে করতে পিছনে ধাওয়া করে। এতে অন্যরা পালাতে পারলেও ভূবনজয় চাকমা গুরুতর আহত হন। পরে সেনাবাহিনী ও স্থানীয় এলাকাবাসী তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। তাকে বর্তমানে রাঙামাটি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর রাঙামাটি জেলা ইউনিটের সংগঠক সচল চাকমা এক বিবৃতিতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি সন্তু গ্রুপের এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলাকে কাপুরুষোচিত আখ্যায়িত করে বলেন, সন্তু লারমা তার সশস্ত্র বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়ে একের পর এক ইউপিডিএফ নেতা কর্মীদের উপর সশস্ত্র হামলা ও খুনের ঘটনা ঘটিয়ে চলেছেন। কিন্তু সরকার তার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করে জামাই আদর দিয়ে আঞ্চলিক পরিষদের গদিতে বসিয়ে রেখেছে।
বিবৃতিতে তিনি এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধ করার জন্য সন্তু লারমার প্রতি আহ্বান জানান। অন্যথায় পরিণতি ভোগ করতে হবে বলেও হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেন।
বিবৃতিতে তিনি অবিলম্বে হামলাকারী সন্তু গ্রুপের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং সন্তু লারমাকে আঞ্চলিক পরিষদ থেকে অপসারণ করে হত্যাকান্ড সহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, দুর্নীতি ও কেলেংকারির দায়ে বিচারের কাঠ গড়ায় দাঁড় করানোর জোর দাবি জানিয়েছেন।#