নান্যাচর ইউএনও’র অপসারণ দাবিতে খাগড়াছড়িতে পিসিপি-এইচডব্লিউএফের বিক্ষোভ

0

সিএইচটিনিউজ.কম
খাগড়াছড়ি: বগাছড়িতে আবারও পাহাড়িদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়ার হুমকিদাতা নান্যাচর ইউএনও মো: নুরুজ্জামানকে অপসারণ ও শাস্তির দাবি জানিয়ে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি) ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন(এইচডব্লিউএফ) খাগড়াছড়ি জেলা শাখা।

‘পাহাড়ি নিধনের ষড়যন্ত্র রুখে দাও’ এই শ্লোগানে সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় খাগড়াছড়ি সদরের স্বনির্ভর  থেকে মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নারাঙহিয়া, উপজেলা হয়ে চেঙ্গী স্কোয়ারে গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়। এতে পিসিপি খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সদস্য জেসীম চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পিসিপি’র জেলা শাখার তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সুভাষ চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি মিশুক চাকমা।

বক্তারা বলেন, গত ১৬ ডিসেম্বর নান্যাচরের বগাছড়িতে সেটলার কর্তৃক পাহাড়িদের বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্তদের এখনো যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন করা হয়নি। গতকাল মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনকালে ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়িরা তাদের দুঃখ-দুর্দশা ও সেটলারদের হামলার সঠিক বিবরণ তুলে ধরায় ইউএনও মো: নুরুজ্জামান ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় মেম্বার কাজলী ত্রিপুরাকে অপদস্ত করা সহ পাহাড়িদের ঘরবাড়ি আবারও পুড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন। এতেই প্রমাণ হয় ১৬ ডিসেম্বরের হামলার সাথে তিনি জড়িত রয়েছেন।

বক্তারা আরো বলেন, একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়েও কিভাবে সেটলারদের পক্ষ নিয়ে প্রকাশ্যে ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়ার হুমকি ও একজন নারী জনপ্রতিনিধিকে অপদস্ত করতে পারেন তা আমাদের বোধগম্য নয়। সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন এইসব প্রশাসনিক কর্মকর্তারাই পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি জনগণের জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকলে বগাছড়িতে এতগুলো বাড়ি পুড়ে যেতো না।

বক্তারা সরকারের সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

বক্তারা অবিলম্বে বগাছড়িতে পাহাড়ি গ্রামে অগ্নিসংযোগের মদদদাতা নান্যাচর উপজেলা নির্বাহী কমর্কর্তা(ইউএনও) মো: নুরুজ্জামানকে অপসারণ ও শাস্তি, ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়িদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন এবং সেটলারদের পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরে সমতলে সম্মানজনক পুনর্বাসনের দাবি জানান।
————-

সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More