নান্যাচর গণহত্যা দিবসের পোস্টার ছিঁড়ে দিয়েছে সেনা-দুর্বৃত্তরা !

0

নান্যাচর : রাঙ্গামাটি জেলার নান্যাচর ‍উপজেলায় ১৯৯৩ সালের ১৭ নভেম্বর সংঘটিত ভয়াবহ গণহত্যা দিবসকে সামনে রেখে “১৭ নভেম্বর ‘৯৩ নান্যাচর গণহত্যা শহীদ স্মরণ সভা আয়োজক কমিটি”-এর লাগানো পোস্টারগুলো সেনাবাহিনী ও কিছু চিহ্নিত দুর্বৃত্ত ছিঁড়ে দিয়েছে ।

গতকাল ১৬ নভেম্বর রাত ৯ টার দিকে উপজেলা সদর ও বাজার এলাকায় পোস্টারিং করার পরপরই সেনাবাহিনীকে সাথে নিয়ে রুপম চাকমা ও প্রগতি চাকমার নেতৃত্বে প্রায় ৭/৮ জন চিহ্নিত দুর্বৃত্ত বিভিন্নস্থানে লাগানো পোস্টারগুলো ছিঁড়ে ফেলে দেয়। এসময় তাঁদের প্রত্যেকের হাতে মুগর (লাঠি) ছিল।

এছাড়া আজ ১৭ নভেম্বর ভোর ৬টার দিকে স্থানীয় নান্যাচর সেনা জোন থেকে একদল সেনা সদস্য সদরের টিএন্ডটি বাজারে গিয়ে দোকান ও বাসাবাড়িতে লাগানো পোস্টারগুলো ছিঁড়ে দেয়।

পোস্টারের স্লোগান ছিল “২৭ নভেম্বর শহীদদের স্মরণ করি সশ্রদ্ধ চিত্তে ! খুনী জল্লাদদের রক্ষার্থে জাতীয় বেঈমানদের ঘৃণ্য চক্রান্তের বিরুদ্ধে সজাগ হোন ! ‘মুখোশ-বোরখা বাহিনী’ লেলিয়ে দিয়ে চাঁদাবাজি-উৎপাত, অস্তু গুঁজে দিয়ে গ্রেফতারের মাধ্যমে প্রমোশন বাণিজ্যের অবৈধ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন ! সেনা চামচা-প্রতিক্রিয়াশীল-দালালদের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন ব্যহত করার সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিন !”

উক্ত ঘটনার পর নান্যাচর গণহত্যার শিকার পরিবার ও তাঁদের সদস্য এবং এলাকার জনগণের মধ্যে চাপা ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। উক্ত দুর্বৃত্তদের ’৭১-এর আলবদর বাহিনীর সাথে তুলনা করে স্থানীয়রা বলেন যারা এসব ঘৃণ্য কাজ করছে তাঁদের লেবাস যাই-ই হোক জনগণ তাঁদের চিনে ফেলেছে। এঁরা চুক্তি পূর্ববর্তী পাহাড়ি জনগণের ত্রাস ও সেনাবাহিনীর পালিত দালাল দাজ্জে ভূবন্ন্যার সুযোগ্য উত্তরসূরি।

উল্লেখ্য, রুপম ও প্রগতিরা নিজেদেরকে জনসংহতি সমিতি এমএন লারমাপন্থী উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমার অনুসারী বলে পরিচয় দিয়ে থাকে।
_______
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More