নেমে গেছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর: নাইক্ষ্যংছড়ির ৪০ গ্রামে পানির জন্য হাহাকার
সিএইচটিনিউজ.কম ডেস্ক:
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৪০টির বেশি গ্রামে খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। প্রচণ্ড গরমে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় এসব গ্রামের অন্তত ২০০ নলকূপ অচল হয়ে পড়েছে। এতে ঘরে ঘরে খাবার পানির হাহাকার চলছে। অনেকে পুকুর, লেক ও ছড়ার ময়লা পানি খেয়ে ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি ডিগ্রি কলেজের ছাত্র ও বাইশারী গ্রামের বাসিন্দা তাহের মুর্শেদ বলেন, তাঁদের বাড়ির একটি নলকূপ থেকে পানি উঠছে না। এখন তিন কিলোমিটার দূরের একটি লেক থেকে ময়লা পানি এনে বাড়ির প্রয়োজনীয় কাজ সামাল দিতে হচ্ছে। তিনি জানান, তাঁর বাড়ির আশপাশের আরও কয়েকটি নলকূপ থেকে পানি উঠছে না।
একইভাবে উপজেলার সদর নাইক্ষ্যংছড়ি, বাইশারী, দৌছড়ি, ঘুমধুম ও সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ৪০টির বেশি গ্রামে খাবার পানির হাহাকার চলছে। এসব গ্রামে প্রায় ১০ হাজার মানুষের বসবাস।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান দীপক বড়ুয়া বলেন, তাঁর ইউনিয়নে ২০টির বেশি পাহাড়ি গ্রামে শতাধিক টিউবওয়েল অচল হওয়ায় নারী ও শিশুদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রচণ্ড গরমে পাহাড়ি ছড়া, ঝিরি ও লেকের পানিও শুকিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে শত শত কৃষকের চাষাবাদও ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হামিদা চৌধুরী বলেন, প্রচণ্ড গরমে প্রায় ২০০ নলকূপ অচল হয়ে পড়েছে। শুষ্ক মৌসুমের তিন মাস পাহাড়ি এলাকায় খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দেয়। এবারও তাই হচ্ছে। কিন্তু বৃষ্টিপাত না হওয়ায় দাবদাহে পাহাড়ি ছড়া ও ঝিরির পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। এখন অনেকে পুকুর, খাল-বিল, উপবন লেকের ময়লা পানি খেয়ে ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মোহামঞ্চদ আজিজ বলেন, প্রচণ্ড গরমে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় নলকূপগুলোতে পানিশূন্যতা দেখা দিচ্ছে। তা ছাড়া পাহাড়ি গ্রামগুলোতে মাটির নিচে জমাট বাঁধা পাথর থাকায় নলকূপও স্থাপন করা সম্ভব হচ্ছে না। কিছু স্থানে ১৫০ ফুট নিচে গিয়েও নলকূপে পানি পাওয়া যাচ্ছে না।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তছলিম ইকবাল চৌধুরী বলেন, এলাকায় পানি বিশুদ্ধকরণ বড়ি সরবরাহের চেষ্টা চলছে।
সৌজন্যে: প্রথম আলো