পঞ্চদশ সংবিধান সংশোধনী বিল পাসের অধিবেশন বয়কট ও বিলের বিপক্ষে ভোট প্রদানের জন্য সংখ্যালঘু জাতির সাংসদদের প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রামের ৫ সংগঠনের আহ্বান
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিএইচটিনিউজ.কম
পঞ্চদশ সংবিধান সংশোধনী বিল পাসের অধিবেশন বয়কট ও বিলের বিপক্ষে ভোট প্রদানের জন্য সংখ্যালঘু জাতির সাংসদদের উদ্দেশ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের ৫ সংগঠনের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
আজ ২৯ জুন, বুধবার গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন, সাজেক ভূমি রক্ষা কমিটি ও সাজেক নারী সমাজ-এর নেতৃবৃন্দ সংবাদ মাধ্যমে প্রেরিত এক যুক্ত বিবৃতিতে সংবিধান (পঞ্চদশসংশোধন) বিল ২০১১ এর বিপক্ষে ভোট প্রদান এবং সংসদে নিজেদের স্বতন্ত্র জাতিসত্তার পরিচিতি তুলে ধরার জন্য তিন পার্বত্য জেলা ও ময়মনসিংহ-১ থেকে নির্বাচিত সাংসদ, কক্সবাজার সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি ও বাম সংগঠনের সাংসদদের প্রতি আহ্বান জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, যে বিল দেশের তাবত্ সংখ্যালঘু জাতির জনগণকে বাঙালি হিসেবে চিহ্নিত করে সেই বিলে আপনারা সম্মতি দিতে পারেন না।
৫ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ‘৭২ সালে শেখ মুজিব কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়িদের বাঙালি হতে নির্দেশ দেবার পরিণতি কী হয়েছিল তা স্মরণ করে দিয়ে আরও বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের সমতল অঞ্চলের ভিন্ন ভাষা-ভাষী জাতিসমূহের জনগণ জাতিগতভাবে বাঙালি নন। তাদের প্রত্যেকের স্ব স্ব জাতীয় পরিচিতি ও সংস্কৃতি রয়েছে৷ শুধুমাত্র নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে এ ভিন্ন ভাষা-ভাষী জাতিসমুহের ওপর বাঙালি জাতীয়তাবাদ চাপিয়ে দেয়া চরম অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী চরিত্রের পরিচায়ক।‘
তিন পার্বত্য জেলার সাংসদদের বাঙালি জাতীয়তা, বিসমিল্লাহ্, রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম ও ধর্মনিরপেক্ষতা– নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কে নিজেদের অবস্থান সুস্পষ্ট করার আহ্বান জানান এবং ৫ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তাদের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আরও বলেন, এলাকার জনগণের সেন্টিমেন্টের বিরুদ্ধে গিয়ে মতা ও সুযোগ-সুবিধার লোভে নিজেদের জাতীয় পরিচিতি ভুলে যাবেন না।
যুক্ত বিবৃতিতে ৫ সংগঠনের পক্ষে স্বাক্ষর করেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি নতুন কুমার চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অংগ্য মারমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কণিকা দেওয়ান, সাজেক ভূমি রা কমিটির সহসভাপতি জ্যোতি লাল চাকমা ও সাজেক নারী সমাজের সাধারণ সম্পাদক নিরূপা চাকমা।