পর্যটন জোনের নামে আলুটিলায় ৭০০ একর জমি বেদখলের প্রতিবাদে রামগড়ে পিসিপি’র বিক্ষোভ
রামগড়(খাগড়াছড়ি) : খাগড়াছড়ি আলুটিলায় পর্যটন জোনের নামে ৭০০ একর জমি বেদখলের প্রতিবাদে রামগড়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি)।
রবিবার(১১ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টায় পিসিপি রামগড় কলেজ শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মিছিলটি রামগড় উপজেলা সদরের যৌথখামার যাত্রী ছাউনি থেকে শুরু হয়ে যৌথখামার বাজারে গিয়ে সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়। উক্ত সমাবেশে পিসিপি রামগড় কলেজ শাখার আহ্বায়ক নরেশ ত্রিপুরার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সদস্য সমর জ্যোতি চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম রামগড় উপজেলা শাখার আহ্বায়ক বাবু মারমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশন লক্ষীছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি রেশমি মার্মা,ইউপিডিএফের রামগড় ইউনিটের সংগঠক হরি কমল ত্রিপুরা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আলুটিলায় ভূমি বেদখলের প্রতিবাদে সম্মিলিত ছাত্র সমাজের ব্যানারে মানববন্ধন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রামগড় থানার ওসি মাঈন উদ্দিন কোরবানি ঈদের অজুহাত দেখিয়ে মানববন্ধন বানচাল করে দেয় । শুধু তাই নয় মানববন্ধটি বানচাল করে দেওয়ার জন্য সকালে থেকে পুলিশ, বিজিবি রামগড় সদর, পার্ক, বল্টুরাম, সিনেমা হল, কলেজ গেইট, যৌথখামার, দাঁতারাম পাড়া, বৈদ্য পাড়ায় অবস্থান নিয়ে আতংক সৃষ্টি করে। বাজারে আসা সাধারণ পাহাড়ি জনগনকে গাড়ি থেকে নামিয়ে রাস্তায় অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
প্রশাসনের এই বাধাদানের কারণে তাৎক্ষণিকভাবে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ এই বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, আলুটিলায় পাহাড়িদের উচ্ছেদ করে সরকার পর্যটন জোনের নামে ৭০০ একর ভূমি বেদখলের যে চেষ্টা চালাচ্ছে পাহাড়ি জনগণ বেচেঁ থাকতে তা কখনো মেনে নেবে না।
বক্তারা আরো বলেন, পাহাড়িরা উন্নয়ন বিরোধী নয়, কিন্তু যে উন্নয়ন পাহাড়িদের যুগ যুগ ধরে বসবাস করে আসা নিজ বাস্তুভিটে থেকে উচ্ছেদ করে সে উন্নয়ন আমরা চাই না। সরকার একদিকে ভূমি কমিশন সংশোধন করে আবার অন্য দিকে নামে বে-নামে ভূমি বেদখল করছে বলে বক্তারা অভিযোগ করেন।
সমাবেশ থেকে বক্তারা পূর্বঘোষিত মানববন্ধন কর্মসূচি বানচাল করে দেওয়ায় প্রশাসনের প্রতি তীব্র নিন্দা জানান। তারা অবিলম্বে আলুটিলাসহ পার্বত্য চট্টগামে ভূমি বেদখল বন্ধের দাবি জানান।
—————
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।