পানছড়িতে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের থানা শাখার কাউন্সিল সম্পন্ন : ১৯ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি গঠিত
পানছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটিনিউজ.কম
বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি)-এর পানছড়ি থানা শাখার কাউন্সিল গত ২২ অক্টোবর ২০১০ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কাউন্সিলে উপস্থিত প্রতিনিধি ও পর্যবেক্ষকগণের সকলের সম্মতিক্রমে প্রণয় চাকমাকে সভাপতি, হরি কমল ত্রিপুরাকে সাধারণ সম্পাদক ও বিবর্তন চাকমাকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১৯ সদস্য বিশিষ্ট পানছড়ি থানা শাখা কমিটি গঠন করা হয়।
কাউন্সিল উপলক্ষ্যে সকাল ১০টায় পানছড়ি ডিগ্রি কলেজের হলরুমে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ-এর পানছড়ি থানা শাখার সভাপতি চন্দ্রদেব চাকমার সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি অংগ্য মারমা, খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আপ্রুসি মারমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অর্পন চাকমা, পানছড়ি থানা শাখার সভাপতি নিকোলাস চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশন-এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রীনা দেওয়ানি, খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাদ্রী চাকমা ও চেঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার অনিল চাকমা। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন হরি কমল ত্রিপুরা।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ছাত্ররাই দেশ এবং জাতির ভবিষ্যত। আগামী দিনের লড়াই সংগ্রামে ছাত্র সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিকার আদায়ের সংগ্রামকে এগিয়ে নেয়ার জন্য ছাত্রদেরকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে চলমান পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের আন্দোলনকে অঙ্কুরে বিনষ্ট করে দেয়ার লক্ষ্যে সরকার তথা শাসকগোষ্ঠি বিভিন্ন ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত চালাচ্ছে। খাগড়াছড়িতে সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রেখে প্রশাসন গণতান্ত্রিক অধিকারের উপর নগ্ন হস্তক্ষেপ করে চলেছে।
বক্তারা বলেন, ছাত্র সমাজ এবং যুব সমাজকে বিপথে পরিচালিত করে আন্দোলন বিমূখ করতে শাসকগোষ্ঠি মরিয়া হয়ে উঠেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে মদ, গাঁজা, হেরোইন, ফেনসিডিল ইত্যাদি মাদক ঢকিয়ে দিয়ে ছাত্র-যুব সমাজের অধঃপতন ত্বরাম্বিত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ সকল ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের ব্যাপারে ছাত্র সমাজকে সতর্ক থাকতে হবে এবং ঐক্যবদ্ধ হয়ে এসব ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
বক্তারা অবিলম্বে সভা-সমাবেশের ওপর জারিকৃত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহারপূর্বক সেনাশাসন বাতিল করা, সেটলার বাঙালীদের পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সমতলে ফিরিয়ে নিয়ে সম্মানজনক পুনর্বাসন করা, পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রথাগত ভূমি অধিকারের স্বীকৃতি প্রদান, পিসিপির শিক্ষা সংক্রান্ত ৫ দফা দাবি বাস্তবায়ন এবং জাতিসত্তার সাংবিধানিক স্বীকৃতিসহ সংবিধানে পার্বত্য চট্টগ্রামকে পৃথক স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ঘোষণার দাবি জানান।