পানছড়িতে প্রদীপ লাল ও কুসুম প্রিয় চাকমার ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

0

পানছড়ি : খাগড়াছড়ির পানছড়িতে  প্রদীপ লাল ও কুসুম প্রিয় চাকমার ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি), গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন পানছড়ি উপজেলা শাখা।

আজ বুধবার (৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় পানছড়ি উপজেলার পুজগাঙ মুখ উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে নির্মিত শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে প্রদীপ লাল ও কুসুমপ্রিয় চাকমার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের পানছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি কৃপায়ন চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের উপজেলা শাখার সদস্য মিতালী চাকমা ও পিসিপি’র পানছড়ি কলেজ শাখার সদস্য মিন্টু চাকমা। এছাড়া পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানিয়েছে পুজগাঙ মুখ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইন্দ্রলাল চাকমা ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে প্রদীপ লাল ও কুসুম প্রিয় চাকমাসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে এযাবৎ যারা আত্মবলিদান দিয়েছেন সে সকল বীর শহীদের শ্রদ্ধা সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

পরে এক স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর পানছড়ি উপজেলা সংগঠক সাইক্লোন চাকমা, গনতান্ত্রিক যুব ফোরামের পানছড়ি থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক মিন্টু বিকাশ চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশন পানছড়ি মিতালী চাকমা, পিসিপি’র পানছড়ি কলেজ শাখার সদস্য মিন্টু চাকমা, পুজগাঙ মূখ উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইন্দ্রলাল চাকমা প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের নিপীড়িত জনগণের অধিকারকে পাশ কাটিয়ে যখন সরকারের সাথে জেএসএস’র আপোষরফা হচ্ছিলো তখন এই দুই নেতা এর সমাালোচনা করেছিলেন। যার কারণে শাসকগোষ্ঠীর ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দিয়ে প্রতিক্রিয়াশীল চক্র তাদেরকে হত্যা করে। বক্তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে আন্দোলন ধ্বংসের সাথে জড়িত দালাল-প্রতিক্রিয়াশীল ও জাতীয় বেঈমানদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে এগিয়ে নেয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে ৪ এপ্রিল খাগড়াছড়ি থেকে পানছড়িতে ফেরার পথে লতিবান নামক স্থানে দুর্বৃত্তরা কুসুমপ্রিয় ও প্রদীপলাল চাকমাকে কুপিয়ে নির্মমভাবে খুন করে।
——————–
সিএইচটিনিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More