পার্বত্যবাসীকে অপমান করতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাঙামাটি সফর: ইউপিডিএফ

0

ডেস্ক রিপোর্ট
সিএইচটিনিউজ.কম
 
ইউনাইটেড পিপল্‌স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সভাপতি প্রসিত খীসা আজ ২২ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগামীকালের রাঙামাটি সফরকে ক্ষমতার দম্ভ প্রকাশ ও অধিকারহারা পার্বত্যবাসীকে চূড়ান্ত অপমান করার আয়োজন বলে অভিহিত করে বলেছেন, ‘যিনি সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জাতিসমূহকে বাঙালি জাতির মধ্যে বিলীন করার প্রয়াস পেয়েছেন, যিনি নিজ সরকারের স্বাক্ষর করা পার্বত্য চুক্তি ও পার্বত্য জনগণের কাছে দেয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পর্যন্ত বাস্তবায়ন করেননি, যিনি মিষ্টি কথার আড়ালে পাহাড়ি জনগণের জাতীয় অস্তিত্ব ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তার আগমনকে সেনা কর্মকর্তা-সরকারি চাকুরীজীবী ও স্বদলীয় লোকজন স্বাগত জানালেও রাঙামাটি তথা পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ স্বাগত জানাতে পারে না।’
ইউপিডিএফ নেতা বলেন, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস স্থাপন করে গত সংসদ নির্বাচনে পার্বত্য আসনের সবকটিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের জয়যুক্ত করলেও প্রতিদানে পাহাড়ি জনগণের কপালে জুটেছে বঞ্চনা, অপমান, প্রতারণা আর সাজেক-রামগড়-রাঙামাটির মত লোমহর্ষক হামলা। সঙ্গত কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ও জনপ্রিয়তা আজ শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২৩ ফেব্রুয়ারীর আসন্ন সফরকে হারানো ভাবমূর্তি ফিরে পাওয়ার মরিয়া ও বৃথা প্রচেষ্টা বলে মন্ত্মব্য করে প্রসিত খীসা আরো বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের ন্যায্য দাবি যেমন ভূমি অধিকারসহ পূর্ণস্বায়ত্তশাসন প্রদান, মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ, সেটলারদের সমতলে সম্মানজনক পুনর্বাসন ও পার্বত্য চট্টগ্রামকে বেসামরিকীকরণ করা হলে পার্বত্য জনগণ মহাসমারোহে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতো এবং তারা আওয়ামী লীগের প্রতি জনগণ আস্থাশীল থাকতো।’
বিবৃতিতে ইউপিডিএফ নেতা প্রধানমন্ত্রীকে নির্বাচনী ওয়াদা স্মরণ করে দিয়ে বলেন, ‘আপনার নির্বাচনী অঙ্গীকার মোতাবেক নিদেনপক্ষে সংখ্যালঘু জাতিসমূহের ভূমি অধিকারের সংরক্ষণ, তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আইন দূরীকরণ ও পার্বত্য চুক্তির গুরুত্বপূর্ণ ধারাগুলো বাস্তবায়নের জন্য বাস্ত্মব পদক্ষেপ নিন। তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ আপনাকে চিরকাল স্মরণ করবে।’
ইউপিডিএফ নেতা প্রধানমন্ত্রীর সফরের কর্মসূচীর সমালোচনা করে বলেন, ‘কেবল কয়েকটি ভিত্তি প্রস্ত্র স্থাপনের জন্য জনগণের কোটি কোটি টাকা অপচয় করে এই সফরের আয়োজন করার কোন মানে হয় না। তাছাড়া স্থানীয় আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ও সংগঠনসহ সংশিস্নষ্ট মহলের মতামত না নিয়ে মনগড়াভাবে এমন কিছু প্রজেক্ট হাতে নেয়া হয়েছে, (সফরের সময় যার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হবে) যা চটকদার হলেও চূড়ান্ত বিচারে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের জন্য ক্ষতিকরই হবে।’

————–

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More