পার্বত্যাঞ্চলে বনায়নের নামে কোটি টাকা লুটপাট!

0
ডেস্ক রিপোর্ট
সিএইচটিনিউজ.কম
 
রাঙ্গামাটি: পার্বত্যাঞ্চলে বনায়নের নামে প্রতিবছর কোটি টাকা লুটপাট করছে বনবিভাগ। বনায়ন তো দুরের কথা সংরক্ষিত বনাঞ্চলও রক্ষা করছে না বনবিভাগ।রাঙ্গামাটি বন সংরক্ষক কার্যালয় সূত্র জানায়, রাঙ্গামাটি জেলায় মোট পাঁচ লাখ ৭৩ হাজার ২৭০ একর সংরক্ষিত বন এবং এসব বনে সেগুন, গর্জন, চাপালিশ, কড়ই, গামার প্রজাতির গাছের অস্থিত্বের কথা বলা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বন সংরক্ষকের কার্যালয়ে এক কর্মকর্তা বলেন, এই তালিকা শুধু কাগজ আর লেখায় সীমাবদ্ধ। বাস্তবের সাথে এর কোন মিল নেই।

সূত্র জানায়, বিগত তিন বছরে তিন পার্বত্য (রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি) জেলায় ৪০৮৩.৩৫ হেক্টর জমি এবং ১০.৫০ কি.মি রাস্তায় তিন কোটি ৮০ লাখ ২২ হাজার ৭৬০ টাকার গাছ লাগানো হয়েছে।  কিন্তু গাছগুলোর অবস্থান সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে পারেনি বন বিভাগ। এ অবস্থায় চলতি অর্থবছরে তিন পার্বত্য জেলায় ৭৪৩ হেক্টর জমিতে এক কোটি ৫২ লাখ আট হাজার ৯৫৮ টাকার গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন বিভাগ।স্থানীয়দের অভিযোগ, সংরক্ষিত বনগুলোর অবস্থান সম্পর্কে বন বিভাগের লোকজনও জানে না। যাওয়া হয়না এসব বনে। এই ফাঁকে প্রতিদিন চুরি করে কেটে নেওয়া হচ্ছে গাছগুলো। পাহাড় ন্যাড় হয়ে মরুভুমিতে পরিণত হচ্ছে। কমে যাচ্ছে পানির উৎস। বর্ষা মৌসুম না যেতে দেখা দিচ্ছে পানির সংকট।

বন বিভাগ জানায়, বিগত পাঁচ বছরে অবৈধভাবে পাচারের সময় ৬,৪৭,৫৩২.৭৪ ঘনফুট কাঠ আটক করতে সক্ষম হয়েছে বন বিভাগ। যার পার্বত্যাঞ্চলের বাজার মুল্য সর্বনিম্ন একশ’ কোটি টাকা। এই অবস্থায়ও সংরিক্ষত বনাঞ্চল থেকে প্রতিদিন চুরি হচ্ছে গাছ। প্রতিনিয়ত ধরাও পড়ছে।

অভিযোগ আছে, রাঙ্গামাটিতে বদলী হয়ে আসার পর পরিবার পরিজন নিয়ে শহরগুলোতে অবস্থান করেন বন বিভাগের লোকজন। শহর থেকে ভুয়া তালিকা তৈরি করে পাঠান সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে। শহরে বসে মাস শেষে বেতন তুলেন। এই ফাঁকে বন থেকে গাছ চুরি করা হয়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান বলেন, বন বিভাগ পার্বত্যাঞ্চলে মনগড়াভাবে কাজ করছে। এতে সাধারণ মানুষ উপকৃত না হয়ে বরং ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বন বিভাগ পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি মোতাবেক পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও জেলা পরিষদের সাথে সমন্বয় না করে কাজ করায় জনগণের কাছে তাদের জবাবদিহিতা নেই বলেন গৌতম দেওয়ান।

রাঙ্গামাটি সার্কেলের বন সংরক্ষক রিজাউল শিকদার বন বিভাগের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেন।
তিনি বলেন, সচ্ছতা ও জবাদিহিতার মধ্যে দিয়ে বন বিভাগের কাজ চলছে। এতে জনগণকে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ২০১০ সালে ২৫ মে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের একটি আদেশের পর পার্বত্য এলাকায় বনায়ন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। (সূত্র: ঢাকা টাইমস২৪.কম)

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More