পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান পরিস্থিতি

0

সিএইচটি নিউজ ডটকম
আজ ৬ আগস্ট ২০১৫ বৃহস্পতিবার বিকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের যৌথ উদ্যোগে “পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান পরিস্থিতি” শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসিংমং মারমা প্রবন্ধটি পাঠ করেন। উক্ত সভায় পঠিত প্রবন্ধটি সিএইচটি নিউজ ডটকমের পাঠকদের জন্য নীচে হুবহু প্রকাশ করা হলো:

ctg alochonasova4* পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান পরিস্থিতি *
ভূমিকা:
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বকোণে ৫,০৯৩ বর্গমাইল এলাকা নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই অঞ্চলের জুম্ম জনগণ স্বায়ত্তশাসনের জন্য যে সশস্ত্র আন্দোলন সংগঠিত করেন ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর এক চুক্তির মাধ্যমে তার পরিসমাপ্তি ঘটে। ব্যাপক ঢাকঢোল পিটিয়ে সম্পাদন করা এই চুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরে আসবে বলে অনেকে আশা করলেও চুক্তি স্বাক্ষরের প্রায় ১৮ বছর পরও শান্তি এখনো অধরাই রয়ে গেছে। ‘সশস্ত্র বিদ্রোহ’ নেই কিন্তু রয়েছে ব্যাপক সেনা উপস্থিতি ও সেনা নিয়ন্ত্রণ। পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান পরিস্থিতি এখন চুক্তি-পূর্ব অবস্থায় ফিরে গেছে বললে অত্যুক্তি হবে না। এখানে পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি নিয়ে কোন জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করা এই লেখার উদ্দেশ্য নয়। এমনকি পরিস্থিতি সম্পর্কে ব্যাপক ও বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরারও খুব বেশী প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে হয় না। এখানে কেবল পার্বত্য চট্টগ্রামের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কয়েকটি দিক অত্যন্ত সংক্ষেপে তুলে ধরার চেষ্টা করা হবে।

রাজনৈতিক নিপীড়ন:
‘পার্বত্য চুক্তি’র পরপরই ‘চুক্তি বিরোধী’ অর্থাৎ ইউপিডিএফ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলোর উপর দমনপীড়ন শুরু হলেও বর্তমানে তা চরম আকার ধারণ করেছে। (বিএনপি ও জামাতসহ চরম দক্ষিণপন্থি দলগুলো ভিন্ন প্রেক্ষিত থেকে চুক্তির বিরোধীতা করলেও সরকার ও জনসংহতি সমিতি তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি)  রাজনৈতিক কর্মী বিশেষত ইউপিডিএফ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের বিনা কারণে গ্রেফতার, নির্যাতন, মিথ্যা মামলা, জেল জুলুম হয়রানি এখন নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত জানুয়ারী থেকে জুলাই পর্যন্ত সাত মাসে ইউপিডিএফের ২৭ জন নেতা-কর্মী ও ৫৩ জন সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া এই সময়ের মধ্যে কমপক্ষে ৬ জন ইউপিডিএফ কর্মীকে হত্যা হয়েছে। রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ছাড়া সাধারণ লোকজনও গ্রেপ্তারসহ বিভিন্ন নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। বেশ কয়েকটি ঘটনায়  নিরীহ গ্রামবাসীকে আটকের পর হাতে অস্ত্র গুঁজে দিয়ে, মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো হচ্ছে। প্রাক্তন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং এনজিও কর্মচারীদেরকে পর্যন্ত বাদ দেয়া হচ্ছে না।

এসব অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদও করতে দেয়া হচ্ছে না। পার্বত্য চট্টগ্রামে এবং বিশেষত খাগড়াছড়িতে রাজনৈতিক সভা সমাবেশ ও মানববন্ধনের উপর অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়েছে। এমনকি পাহাড়িদের সামাজিক উৎসব বৈসাবি র‌্যালী পর্যন্ত সেনা-পুলিশী হামলায় পন্ড করে দেয়া হয়েছে। খাগড়াছড়িতে গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের অরাজনৈতিক কর্মসূচী শহর পরিচ্ছন্ন অভিযানেও বাধা দেয়া হয়েছে। বিদ্যুতের দাবিতে সাধারণ জনগণ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করতে চাইলে তাতেও বাধা দেয়া হয়েছে এবং অংশগ্রহণকারীদের আটক করে জেলে পাঠানো হয়েছে। এতক কথায় পার্বত্য চট্টগ্রামে ভয়াবহ রাজনৈতিক দমন পীড়ন চলছে। অথচ এসব খবর দেশের পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত না হওয়ায় তা দেশবাসীর অন্তরালে থেকে যাচ্ছে।

সেনা নিয়ন্ত্রণ :
পার্বত্য চট্টগ্রামে আগের মতো সেনাবাহিনীর একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ বলবৎ রয়েছে। অপারেশন উত্তরণের নামে চলছে সেনাশাসন। গ্রাম ঘেরাও, সেনা অপারেশন, বাড়িঘরে তল্লাশী, নিরীহ লোকজনকে হয়রানি, আটক করা হলো সেনাবাহিনীর প্রতিদিনের কাজ। সাধারণ বেসামরিক প্রশাসনের উপরও রয়েছে তাদের খবরদারী। এক সরকারী নথিতে দেখা যায, বিজিবি কমান্ডারদের সুপারিশে পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রশ্নে সরকারী নীতি নির্ধারিত হচ্ছে।

গণতন্ত্রের অনুপস্থিতি:
যেখানে সেনা নিয়ন্ত্রণ ও রাজনৈতিক দমনপীড়ন, সেখানে নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকার ভুলুন্ঠিত হবে সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। ইতিপূর্বে এ লেখার শুরুতে সভা সমাবেশের উপর অঘোষিত নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়েছে। অবশ্য সারা তদেশে যেখানে গণতন্ত্র পদদলিত, সেখানে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচ্ছিন্নভাবে গণতন্ত্রের আশা করা বাতুলতা মাত্র। কিন্তু তারপরও এটা বলা দরকার যে, বাংলাদেশের সমাজ বাস্তবতা এমনই যে, এখানে নিকৃষ্টতম সামরিক স্বৈরশাসকদের পর্যন্ত গণতন্ত্রের আলখেল্লা পরতে হয়েছে তাদের শাসন জারী রাখার জন্য। বর্তমান সরকারকেও বৈধতার জন্য বিরোধী দল বর্জিত নাম সর্বস্ব নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। দেশে একদলীয় শাসনের জন্য গণতন্ত্রের ঠুনকো আচ্ছাদন দেয়ার চেষ্ঠা হলেও, পার্বত্য চট্টগ্রামের বেলায় তাও নেই। তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাচন ১৯৮৯ সালের পর থেকে গত ২৬ বছর ধরে আর হয়নি। এই তিন পরিষদ শাসক দলের নেতাকর্মীদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। পার্বত্য চুক্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত আঞ্চলিক পরিষদেরও একই অবস্থা।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের ১১ নির্দেশনা: পার্বত্য চট্টগ্রাম বিদেশীদের জন্য নিষিদ্ধ:
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক এক নির্দেশনার মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামকে কার্যত: বিদেশীদের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যা আমাদের পার্বত্য চুক্তি-পূর্ব পরিস্থিতির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। গত ৭ জানুয়ারি ২০১৫ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ে ১১ টি অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও পরে তার ভিত্তিতে নির্দেশনা জারী করা হয়। এই নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে বিদেশীদের পার্বত্য চট্টগ্রাম সফরের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক পূর্বানুমতি গ্রহণ যা নিষেধাজ্ঞার সামিল; পার্বত্য চট্টগ্রাম কমিশনের নাম পরিবর্তন করতে বাধ্য করা, চট্টগ্রামের ২৪ পদাতিক ডিভিশনকে বিশেষ ক্ষমতা প্রদান, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রবেশ পথ সমূহের চেকপোষ্টগুলোকে সক্রিয় করা, পুলিশ-আনসার বাহিনীতে কর্মরত পাহাড়ি সদস্যদেরকে পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরে অন্য জেলায় বদলী করা ইত্যাদি। ইতিপূর্বে সরকারের এক নির্দেশনায় বিদেশীদের সাথে পাহাড়িদের আলাপের সময় সেনাবাহিনী অথবা সরকারী লোকজনের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়, যা চরম বর্ণবাদী, অসাংবিধানিক ও মৌলিক মানবাধিকারের পরিপন্থী বলে সর্বমহলে ধিকৃত হয়েছে।

 সংবিধানে বাঙালী জাতীয়তাবাদ ও সংখ্যালঘু জাতির স্বীকৃতিহীনতা:
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে দেশে বসবাসরত সংখ্যালঘু জাতিগুলোর উপর বাঙালী জাতীয়তাবাদ চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ এই সংশোধনীর বলে সংবিধানের ৬ (২) ধারা অনুযায়ী সংখ্যালঘু জাতি ও জনগণ ভিন্ন জাতি বা জাতিসত্তা হওয়া সত্ত্বেও তাদের জাতীয় পরিচয় এখন ‘বাঙালি’। সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশে বাঙালী ভিন্ন আর অন্য কোন জাতির অস্তিত্ত্ব স্বীকার করা হয়নি, যদিও বাংলাদেশ একটি বহুজাতিক, বহুভাষিক ও বহু সংস্কৃতির রাষ্ট্র।

ভূমি বেদখল:
পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার কেন্দ্রে রয়েছে ভূমি। পাহাড়িদের শত শত বছর ধরে চলে আসা প্রথাগত ভূমি মালিকানা আইনের স্বীকৃতি না দিয়ে সরকার বরং তাদেরকে নিজ ভূমি ও বন থেকে উচ্ছেদ করছে। যে ভূমি ও বন পাহাড়িদের জীবিকার উৎস ও অস্তিত্ত্বের অবলম্বন তা থেকে তাদেরকে বিযুক্ত করার ফলে তাদের অস্তিত্ত্ব আজ চরমভাবে বিপন্ন হয়ে পড়েছে। যে সব কারণে তাদের ভূমি বেদখল হচ্ছে সেগুলো হলো প্রধানত সেটলার বসতি স্থাপন, সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনা নির্মাণ ও সম্প্রসারণ, পর্যটন শিল্পের প্রসার, পার্বত্য চট্টগ্রামের অবাসিন্দা কোম্পানী ও ব্যক্তির কাছে লিজ প্রদান, সংরক্ষিত বনাঞ্চল গঠন ইত্যাদি।

পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি বেদখল প্রতিদিনকার সমস্যা এবং চুক্তি-উত্তর যে ডজনের অধিক বড় ধরনের সাম্প্রদায়িক হামলা সংঘটিত হয়েছে তার  অনেকগুলোর মূল কারণ হলো পাহাড়িদের ভূমি বেদখল-প্রচেষ্টা। সাম্প্রতিক সময়েও ভূমি বেদখল প্রচেষ্টার কারণে খাগড়াছড়িতে বেশ কয়েকবার পাহাড়ি বাঙালি দাঙ্গা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। বান্দরবানের লামায় ভূমি বেদখলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় ক্যহ্লাচিং মারমা নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।

নারী নির্যাতন:
ধর্ষণসহ যৌন সহিংসতা পার্বত্য চট্টগ্রামে আজ যেন কালচারে পরিণত হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও পাহাড়ি নারীদের ধর্ষণ অথবা ধর্ষণ-প্রচেষ্টার ঘটনা ঘটছে। মাঠে, ঘাটে, হাটে-বাজারে, রাস্তায়, স্কুলে-নিজ বাড়িতে কোথাও পাহাড়ি নারীরা আজ নিরাপদ নয়। হামলাকারীরা সর্বত্র তাদের জন্য ওঁৎ পেতে রয়েছে।  ইউপিডিএফ-এর মানবাধিকার পরিবীক্ষণ সেলের তথ্য অনুযায়ী গত জানুয়ারী থেকে জুলাই পর্যন্ত মোট  ১০ জন পাহাড়ি নারী ও শিশু ধর্ষিত এবং ১১ জন ধর্ষণ প্রচেষ্টার শিকার হয়েছে।

সামরিক ও আধা সামরিক বাহিনীর স্থাপনা নির্মাণ-সম্প্রসারণ:
পার্বত্য চট্টগ্রামে বিশাল সামরিক ও আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন সত্ত্বেও বিজিবি’র উপস্থিতি জোরদার করা হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে খাগড়াছড়ি জেলার দিঘীনালা উপজেলায় বিজিবি’র ৫১ ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর স্থাপনের নামে জমি বেদখল করে ২১ পরিবার পাহাড়িকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। গত এক বছরের অধিক সময় ধরে তারা নিজ ভূমিতে পরবাসীর মতো মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। এই ভূমি বেদখল ও উচ্ছেদের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ পদযাত্রায় সেনা পুলিশের হামলায় বহু লোককে আহত করা হয়েছে। এলাকাবাসীর ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন দমনের জন্য গ্রেফতার, মিথ্যা মামলা, জেলজুলুম, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হয়রানি বৃদ্ধি করা হয়েছে।

বান্দরবানের রোয়াংছড়িতেও বিজিবি’র ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর নির্মাণের নামে জমি বেদখল করা হয়েছে। এছাড়া বান্দরবানের বিভিন্ন স্থানে সশস্ত্র বাহিনীর স্থাপনা নির্মাণ অথবা সম্প্রসারণের জন্য জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

জেএসএস-সন্তু গ্রুপের ভূমিকা:
পার্বত্য চট্টগ্রামের আরো একটি বিষয় উল্লেখ না করলে এ লেখাটি অসম্পূর্ণ থেকে যাবে তা হলো ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত, যার সূচনা চুক্তির পর জনসংহতি সমিতি রাষ্ট্র ও সরকারের অংশে পরিণত হওয়ার পর থেকে। গত ১৭-১৮ বছরে ইউপিডিএফের আড়াই শতাধিক নেতা কর্মী ও সমর্থক এই নারকীয় সংঘাতে বলী হয়েছে।

এক সময় জুম্ম জনগণের স্বাধিকার আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী জেএসএস কীভাবে আদর্শচ্যুত হয়ে নিপীড়ক রাষ্ট্রের সহযোগীতে পরিণত হয়েছে তা ভিন্ন আলোচনার বিষয়  হলেও এটা এখানে বিশেষভাবে বলা দরকার যে, সরকার জেএসএস তথা সন্তু গ্রুপকে জুম্ম বা পাহাড়ি জনগণের আন্দোলন দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। সন্তু গ্রুপের প্রধানের সশস্ত্র আন্দোলনের মেকী হুমকী ও ‘‘অসহযোগ আন্দোলনের” তামাশা সত্ত্বেও এ কথা সত্য।

উপসংহার :
বাংলাদেশে ধনী-গরীবের প্রকট বৈষম্য, শ্রমিক নিপীড়ন ইত্যাদি সত্ত্বেও সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে যে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী কত বছরের মধ্যে বাংলাদেশ পর্যায়ক্রমে মধ্যম আয়ের ও ধনী রাষ্ট্রে পরিণত হবে তারও হিসাব কষা হয়েছে।

তবে দেশের শাসকগোষ্ঠীকে এ ক্ষেত্রে একটি সত্য মনে রাখতে হবে যে, দেহের কোন অঙ্গকে অপুষ্ট রেখে বা কোন অঙ্গে ক্ষত থাকলে যেমন একজন মানুষ সুস্থভাবে বেড়ে উঠতে পারে না, তেমনি পার্বত্য চট্টগ্রামকে পশ্চাদপদ কিংবা ক্ষত-বিক্ষত রেখে বাংলাদেশ কখনো এগিয়ে যেতে পারবে না।

আর যারা এদেশে শোষণ-নিপীড়ণ মুক্ত প্রকৃত গণতান্ত্রিক শাসন কায়েম করতে চান তাদেরকে অবশ্যই পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পর্কে গভীরভাবে ভাবতে হবে এবং সময়োপযোগী ও বাস্তব কর্মসূচী গ্রহণ করতে হবে।#

 

* পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান পরিস্থিতি শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা : সারা দেশে ফ্যাসিবাদী শাসন চলছে

——————–
সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More