পার্বত্য চট্টগ্রামে চলমান সহিংসতা বন্ধের দাবিতে পবিপ্রবিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত

0

পটুয়াখালী: অবিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্রামে চলমান সহিংসতা বন্ধের দাবি জানিয়ে গতকাল বৃহষ্পতিবার (৪ মে) বিকালে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) ক্যাম্পাস এর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে পবিপ্রবি’র পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা।

potuakhal2এ সময় প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে সংহতি জানায় বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘ, পটুয়াখালী জেলা সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, পবিপ্রবি সংসদ এর সহ-সাধারণ সম্পাদক এম.এম.হাওলাদার, বাংলাদেশ রাখাইন স্টুডেন্টস ইউনিটি,র সদস্য হ্লা চান চো, তরুণ কবি ও সাহিত্য কর্মী হাসিবুল আলম (শাওন) এবং বৃহত্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় ছাত্র ফোরাম এর সদস্যবৃন্দ।

প্রতিবাদ কর্মসূচিতে নান্যাচর উপজেলার পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ এর সাধারণ সম্পাদক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী রমেল চাকমা’র রাষ্ট্রীয় বাহিনী কর্তৃক অন্যায়ভাবে আটক ও নির্যাতনের ফলে মৃত্যু এবং তার শরীরের নির্যাতনের চিহ্ন গোপন রাখতে মৃতদেহ পারিবারের কাছে হস্তান্তর না করে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে ফেলার প্রতিবাদ জানানো হয়। এছাড়াও খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের মেধাবী ছাত্রী ইতি চাকমা হত্যাকান্ডের বহুদিন পার হয়ে গেলেও এখনও ঘটনার রহস্য উদঘটিত না হওয়া এবং খুনীকে গ্রেফতার না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।potuakhali1

পানছড়ি উপজেলার পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ সভাপতি জুয়েল চাকমাকে অন্যায়ভাবে আটক, খাগড়াছড়ি জেলা কমিটির সদস্য ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা কমিটির সাবেক সভাপতি দীপংকর ত্রিপুরাকে মাথায় আঘাত করে গুরুত্বর আহত করা, হিল উইমেন্স ফেডারেশন এর খাগড়াছড়ি সভাপতি দ্বিতীয়া চাকমা এবং  লক্ষীছড়ি সভাপতি রেশমী মারমা,র হাত ভেঙ্গে দেয়া, নান্যাচর, লক্ষীছড়ি, পানছড়িসহ সর্বত্র শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা প্রদান, হয়রানি ও আক্রমণের মতো ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানানো হয়। এছাড়াও বিশেষ কয়েকটি দৈনিক পত্রিকার উদ্দেশ্যমূলকভাবে ধর্ম অবমাননা ও উস্কানীমূলক বক্তব্য, রমেল চাকমা হত্যাকান্ডের প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করে মনগড়া সংবাদ প্রকাশ এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহ-সভাপতি ও রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব ঊষাতন তালুকদার এর নামে বিভ্রান্তি মূলক খবর প্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয়।

সবশেষে পানছড়ি গণহত্যা (১-২মে, ১৯৮৬) এবং লংগদু গণহত্যা (৪মে, ১৯৮৯)সহ পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিত সকল গণহত্যা ও পাহাড়িদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে জীবন দানকারী সকল শহীদের আত্মত্যাগের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মোমবাতি প্রজ্বলন করার মাধ্যমে কর্মসূচি সমাপ্ত হয়।
—————–
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More