প্রবন্ধ

পার্বত্য চট্টগ্রামে জাতীয় অস্তিত্বের সংগ্রাম: মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার প্রাসঙ্গিকতা

0

[এই প্রবন্ধটি গত বছর (২০১৯) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জুম্ম শিক্ষার্থীদের প্রকাশনা সিএইচটি মিরর-এর উদ্যোগে আয়োজিত ‘মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা ও বর্তমান আন্দোলনে তাঁর প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক এক বিশেষ আলোচনা সভায় পাঠ করা হয়। প্রবন্ধটির গুরুত্ব বিবেচনা করে এমএন লারমার ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এখানে প্রকাশ করা হলো- সম্পাদক ]

মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা

 

পার্বত্য চট্টগ্রামে জাতীয় অস্তিত্বের সংগ্রাম: মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার প্রাসঙ্গিকতা

“A nation that does not honor its heroes will not long endure.”
-Abraham Lincoln, 16th President of the United States of America

(১)

পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জাতিগুলো নিজেদের জাতীয় আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘ ছয় দশক ধরে সংগ্রাম চালিয়ে আসছে – কখনো নিয়মতান্ত্রিকভাবে আবার কখনো সশস্ত্র পন্থায়। এমনকি ১৯৯৭ সালে এক চুক্তির মাধ্যমে সশন্ত্র সংগ্রামের অবসান ঘটলেও জুম্ম জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন এখনো অব্যাহত রয়েছে। মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা এই আন্দোলনের অগ্রদূত হলেও, দুঃখজনক হলেও সত্য, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে তাঁর ভূমিকা ও অবদান এখনো যথার্থ ও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মূল্যায়ন হয়নি। বক্ষ্যমান নিবন্ধেও সে চেষ্টা করা হয়নি, তবে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ও বাস্তবতায় তার প্রাসঙ্গিকতা বিচারের ক্ষুদ্র প্রয়াস করা হয়েছে।

(২)

প্রথমে ১৯৬০-৭০ দশকে জুম্ম জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে সূচিত আন্দোলনের পটভূমি সংক্ষেপে আলোচনা করা দরকার। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে বৃটিশ আগ্রাসনের আগ পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম ছিল একটি স্বাধীন রাজ্য। এ অঞ্চলের জনগণ বৃটিশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সফলভাবে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন, যার ফলে ১৭৮৭ সালে বৃটিশ শাসকরা রাজার সাথে সন্ধি করতে ও পাহাড়ি জাতিগুলোর স্বকীয় সত্তা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে ধূরন্ধর বৃটিশ বেনিয়ারা এই সন্ধি লঙ্ঘন করে এবং ১৮৬০ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলকে (তখন কার্পাস মহল নামে পরিচিত) আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা-ভারতের সাথে যুক্ত করে নেয়।

প্রাক-বৃটিশ যুগে পার্বত্য চট্টগ্রামের অর্থনীতি ছিল সম্পূর্ণ জুম চাষ নির্ভর। বৃটিশরা কৃষিতে হালচাষ পদ্ধতি ও আনুষ্ঠানিক শিক্ষা প্রচলন করে। এর ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামে দ্রুত আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণীর আবির্ভাব ঘটে। এই শ্রেণী বিদ্যা শিক্ষার প্রসার, সমাজ সংস্কারমূলক কার্যক্রম এবং সামন্ততান্ত্রিক ধ্যান-ধারণার বিরুদ্ধে প্রচারণায় ব্যাপক ভূমিকা রাখে। শুধু তাই নয়, এই শিক্ষিত তরুণরা সে সময় ভারতের বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের অংশ নেয়। ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ভারত ভাগ হলে একটি অমুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অধ্যুষিত অঞ্চল হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভারতের সাথে যুক্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এলাকার জুম্ম জনগণের কোন মতামত না নিয়ে ও ভারত ভাগের আইন বরখেলাপ করে পার্বত্য চট্টগ্রামকে পাকিস্তানের সাথে জুড়ে দেয়া হয়। সে সময় স্নেহকুমার চাকমার নেতৃত্বে তরুণরা এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানায়, এমনকি সশন্ত্র প্রতিরোধ করার ব্যাপারেও চিন্তা করে বলে জানা যায়।

অতঃপর পাকিস্তান আমলে যে একটি ঘটনা পার্বত্য চট্টগ্রামে ব্যক্তি, সমাজ ও রাজনীতিসহ সমগ্র চিন্তাজগতে ব্যাপক ও সুদূর প্রসারী প্রভাব সৃষ্টি করে তা হলো ১৯৬০ দশকে কর্ণফুলী নদীতে কাপ্তা্ই বাঁধ নির্মাণ। ১৯৭০ দশকে মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা যে জুম্ম জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রামের ভিন্ন ভিন্ন বহু জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন তার ভ্রুণ গঠনে নিয়ামকের ভূমিকা পালন করে এই বাঁধ, যাকে তিনি মরণ ফাঁদ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন। লক্ষাধিক পাহাড়ি এই বাঁধের কারণে উচ্ছেদ হন, ৪০ হাজার একর উর্বর ফলনশীল জমি পানিতে নিমগ্ন হয়। সঠিকভাবে বিচার করলে এতে পাহাড়িদের অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং উদীয়মান মধ্যবিত্ত শ্রেণীর বিকাশ চরমভাবে বাধাপ্রাপ্ত হয়।
স্বাভাবিকভাবে এই বাঁধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে উঠে, যার নেতৃত্ব দেয় শিক্ষিত ছাত্র-তরুণ সমাজ। মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা সে সময় ছিলেন একজন ছাত্র নেতা এবং তিনি এই প্রতিবাদে নেতৃত্ব দেয়ার কারণে গ্রেফতার হন।

(৩)

ষাট দশকে মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা যখন ছাত্র তখন বিশ্বের দেশে দেশে প্রগতিশীল বিপ্লবী রাজনীতির জোয়ার পুরো বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিচ্ছিল। ১৯১৭ সালে রুশ বিপ্লব ও তারপর ১৯৪৯ সালে মাও সেতুঙের নেতৃত্বে চীন বিপ্লবের বিজয় ইতিমধ্যে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের নিপীড়িত শোষিত জাতি, শ্রেণী ও জনগণের সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী মুক্তি সংগ্রামে বিপুল প্রভাব বিস্তার করেছিল। ষাট-সত্তর দশকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে চারু মজুমদারের নেতৃত্বে বিপ্লবী উত্থান এবং ভিয়েতনামে মার্কিন সাম্রাজ্যেবাদ বিরোধী জাতীয় মুক্তি সংগ্রাম পার্বত্য চট্টগ্রামের ছাত্র সমাজকেও নাড়া দিয়েছিল।

ষাট দশকে লারমা যখন ছাত্র তখন খোদ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে (অর্থাৎ বর্তমান বাংলাদেশ) বাঙালি জনগণের মধ্যে পশ্চিম পাকিস্তানের পাঞ্জাবী শাসক গোষ্ঠীর শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে ক্ষোভ অষন্তোষ দানা বাঁধছিল, এবং ১৯৬৯ সালে তা এক গণঅভ্যুত্থানের রুপ নিয়ে স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের পতন ঘটিয়েছিল। ঠিক এই রকম বিপ্লবী রাজনীতি ও সংগ্রামের আবহে মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা প্রগতিশীল মার্কসবাদী চিন্তাচেতনায় দীক্ষিত হন এবং বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সাথে যুক্ত হন।

এরপর তিনি ১৯৭২ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন এবং ১৯৮৩ সালে গৃহযুদ্ধে নিহত হওয়ার আগ পর্যন্ত এই সংগঠনটির মাধ্যমে নিয়মতান্ত্রিক ও অনিয়তান্ত্রিক পন্থায় জাতীয় মুক্তি আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমাকে জুম্ম জাতীয়তাবাদের জনক বলা হয়, কারণ তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি জুম্ম জাতীয়তাবাদের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিকাশের বিভিন্ন স্তরে থাকা ভিন্ন ভিন্ন পাহাড়ি জাতিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন। তার এই জাতীয়তাবাদ একদিকে ছিল অধিপত্যবাদী উগ্র বাঙালী জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষামূলক হাতিয়ার, অন্যদিকে পার্বত্যাঞ্চলে পশ্চাদপদ সামন্তবাদ বিরোধী। এই কারণে জু্ম্ম জাতীয়তাবাদী আদর্শ সে সময়ে শিক্ষিত প্রগতিশীল ছাত্র যুব সমাজকে প্রবলভবে আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছিল।

(৪)

মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা মার্কসবাদী দৃষ্টিভঙ্গি লালন এবং জুম্ম জাতীয়তাবাদী আদর্শ প্রচার করলেও এসব বিষয়ে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজনীতি সমাজ সংগ্রাম সম্পর্কে তার তেমন কোন রচনা পাওয়া যায় না। গণ পরিষদের সদস্য হিসেবে সংসদে তিনি যে বক্তব্য দেন সেখানে তার রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির কিছুটা আভাস পাওয়া যায় সত্য, কিন্তু তাকে ও তার রাজনীতি বোঝার জন্য তা আদৌ যথেষ্ট নয়। তার সহযোদ্ধাদের স্মৃতিচারণমূলক লেখায়ও যতটা তার চারিত্র্যিক বৈশিষ্ট্যের পরিচয় মেলে, ততটাই তার রাজনৈতিক ভাবাদর্শ ও আন্দোলন সংগ্রামের নীতি-কৌশল সম্পর্কে তার চিন্তাভাবনার ওপর আলোচনা দেখা যায় না। তারপরও মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা পার্বত্য চট্টগ্রামে একজন অত্যন্ত বড় মাপের আদর্শবান নেতা, ‍যিনি অধিকারহারা শোষিত বঞ্চিত জুম্ম জনগণের মুক্তির জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।

এই মহান নেতা যে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন তার মৃত্যুর ১৪ বছর পর ১৯৯৭ সালে তা সরকারের সাথে এক আপোষচুক্তিতে কার্যতঃ শেষ হয়ে যায়। আর তার মৃত্যুর ৩৬ বছর পর আজ তারই গড়া জনসংহতি সমিতি দ্বিধাবিভক্ত, ভ্রাতৃঘাতি সংঘাতে জর্জরিত এবং স্পষ্টই রাজনৈতিক আদর্শিকভাবে দিকভ্রষ্ট। তিনি বেঁচে থাকলে তার গড়া আন্দোলন ও জনসংহতি সমিতির কী পরিণতি হতো তা কারো পক্ষে বলা সম্ভব নয়, তবে তার মৃত্যুর এত বছর পরও তিনি যে এখনো প্রাসঙ্গিক সে কথা নির্দ্ধিধায় বলা যায়। কারণ উগ্র বাঙালি জাতীয়তাবদের বিরুদ্ধে নিপীড়িত পাহাড়ি জাতিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করতে জুম্ম জাতীয়তাবাদের ভূমিকাকে এখনো খাটো করে দেখার অবকাশ নেই। বিকাশের বিভিন্ন স্তরে থাকা এই জাতিগুলোর সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামেও জুম্ম জাতীয়তাবাদ একইভাবে কার্যকরী হতে পারে।কারণ পাহাড়িদের কোন একটি নির্দিষ্ট জাতির (যেমন চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা,) জাতীয়তাবাদের মধ্যে বাকি সকল জাতিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করা সম্ভব নয়। এই ঐক্যের জন্য দরকার একটি ব্যাপক ভিত্তিক বৃহত্তর জাতীয়তাবাদ যা একমাত্র জুম্ম জাতীয়তাবাদই দিতে পারে। এ কথা মনে রাখা দরকার জাতীয়তাবাদ একটি বুর্জোয়া আদর্শ হলেও নির্দিষ্ট ঐতিহাসিক বাস্তবতায় তার প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক উপাদানও রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে জুম্ম জনগণের জাতীয় অস্তিত্ব রক্ষার আন্দোলনের ক্ষেত্রেও একথা সর্বাংশে সত্য।

দ্বিতীয়ত, মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা মানবেতিহাসের যে সবচেয়ে আধুনিক ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক দর্শন লালন করতেন এবং তার ভিত্তিতে আন্দোলনকে সংগঠিত করতে চেয়েছিলেন তার উপযোগিতা এখনো শেষ হয়ে যায়নি। সঠিক ও বাস্তববাদী বিশ্বদৃষ্টিভঙ্গি ছাড়া কোন আন্দোলন দৃঢ়ভাবে সংগঠিত ও সফল হতে পারে না। মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার এই দৃষ্টিভঙ্গি বাংলাদেশের শ্রমিক, কৃষক, মেহনতি মানুষের প্রকৃত মুক্তির সাথে পার্বত্য চট্টগ্রামের নিপীড়িত জাতিগুলোর মুক্তিকে বিচ্ছিন্ন করে দেখে না, বরং এক অপরের সহযোগী হিসেবে দেখে। আন্দোলনের নীতি কৌশল নির্ধারণ ও সাফল্যের জন্য তার অনুসৃত এই রাজনৈতিক দর্শনের বিকল্প নেই।

(৫)

কিন্তু প্রশ্ন হলো ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত ও অন্তর্দ্বন্দ্বে জর্জরিত আজকের পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজনৈতিক চিন্তা ও কর্মে তার আদর্শের প্রতিফলন কতটুকু? লারমার সৈনিক দাবিদার এক নেতার প্রশ্ন: ‘ভেবে দেখা দরকার আমরা এম এন লারমার সৈনিক হয়ে তাঁর চিন্তাধারার বিপরীতে কাজ করছি কিনা, তাঁর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছি কিনা? আমরা জুম্ম জনগণের পক্ষে, মেহনতি মানুষের পক্ষে কাজ করছি কিনা? নাকি আমরা জনগণের সম্পদ, মেহনতি মানুষের সম্পদ হরণ করছি। নাকি জুম্ম জনগণের অর্থনৈতিক অধিকার, তাদের রাজনৈতিক অধিকার, সাংস্কৃতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার বিপরীতে কাজ করছি?’

যেভাবে আজ সর্বত্র লারমার অনুসারী সেজে তারই আদর্শের বিরুদ্ধে নির্লজ্জ ও উলঙ্গভাবে সুবিধাবাদী রাজনীতির চর্চা হচ্ছে সেখানে তার এই প্রশ্ন একান্তই যৌক্তিক। এই অবস্থায় পার্বত্য চট্টগ্রামে দলমত নির্বিশেষে যে কোন সৎ ও নিষ্ঠাবান রাজনৈতিক কর্মীর উচিত সকল প্রকার সংকীর্ণতা ও হীনমন্যতা পরিহার করে মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার প্রকৃত বিপ্লবী সত্তাকে এইসব মেকী ‘লারমার সৈনিকদের’ কাছ থেকে উদ্ধার করা। বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে এইভাবে প্রয়াত লারমাকে তা সমহিমায় প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হলেই কেবল তাকে যথার্থভাবে শ্রদ্ধা জানানো হবে।

 


সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত/প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।

 

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More