পার্বত্য চট্টগ্রামে ব্রিটিশ শাসনের ইতিহাস নিয়ে বাঘাইছড়িতে আলোচনা সভা

0

বাঘাইছড়ি (রাঙামাটি) : পার্বত্য চট্টগ্রামে ব্রিটিশ শাসনের ইতিহাস নিয়ে বাঘাইছড়িতে আলোচনা সভা করেছে গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম।

আজ সোমবার (৭ আগস্ট ২০১৭) দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামে কেন্দ্রীয় সভাপতি অংগ্য মারমা।  এছাড়াও সভায় উপস্থিত থেকে আরো বক্তব্য রাখেন ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) সদস্য শিশির চাকমা, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা ও এলাকার কার্বারী খকু মণি চাকমা প্রমুখ।20668430_1418756821542708_1995258870_n

সভায় প্রধান আলোচক অংগ্য মারমা বলেন, বৃটিশ ঔপনিবেশিক শাসকগণ পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের উপর যেভাবে শাসন-শোষণের কবল থেকে মুক্ত হতে তৎকালিন পাহাড়ি জনগণকে দীর্ঘ সময় ধরে লড়াই-সংগ্রাম করতে হয়েছিল। এ অঞ্চলের স্বাধীন মর্যাদা রক্ষার জন্য রাজা শের দৌলত খাঁ, সেনাপতি রুণু খাঁ, যুবরাজ জানবক্স খাঁ বিটিশ ঔপনিবেশিক শক্তির সাথে দীর্ঘ দু’যুগেরও (১৭৭২ – ১৭৯৮) বেশী সময় গৌরবোজ্জ্বল প্রতিরোধ লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছিলেন।

তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণকে অতীতের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হবে। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে বর্তমান প্রজন্মকে শাসক গোষ্ঠির সকল ধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

20668424_1418798298205227_441790838_n

খুকুমনি কার্বারী বলেন, আমরা পাহাড়ি জনগণ মোঘল, ব্রিটিশ, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের শাসক গোষ্ঠী কতৃক নির্যাতিত শোষিত হয়ে আসছি। আমাদেরকে এই অন্যায় শাসন-শোষণেরর হাত থেকে রক্ষা পেতে সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং অতীতের সংগ্রামী ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হবে।

উল্লেখ্য, ১৮৬০ সালের ১ আগস্ট তথাকথিত এক আইনের মাধ্যমে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসকরা স্বাধীন এ ভূ-খণ্ডকে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম’ নাম দিয়ে জেলায় রূপান্তর করে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের সাম্রাজ্যভুক্ত করে নেয়। কিন্তু তৎকালীন এ রাজ্যের শাসক কালিন্দী রাণী তার জীবদ্দশায় ঔপনিবেশিক শাসকদের অন্যায় হস্তক্ষেপ ও খবরদারি মেনে নেন নি। তবে তাঁর মৃত্যুর (১৮৭৩) পর বৃটিশরা এ অঞ্চলের উপর পূর্ণ কর্তৃত্ব স্থাপন করে শাসন কার্য পরিচালনা করে। যা ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত স্থায়ী ছিল।
—————-
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More