পার্বত্য চট্টগ্রামে সফররত এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল-এর টিমের সাথে ইউপিডিএফ প্রতিনিধিবৃন্দের সাক্ষাত

0

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিএইচটিনিউজ.কম
আজ ৫ ফেব্রুয়ারী ২০১১ বিকাল ৫টার সময় খাগড়াছড়ি জেলা সদরে পার্বত্য চট্টগ্রাম সফররত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল-এর একটি টিমের সাথে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) প্রতিনিধিবৃন্দের সাক্ষাত হয়েছে

এ সময় এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল-এর প থেকে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির দণি এশিয়া বিষয়ক গবেষক আব্বাস ফয়েজ, এন্ড্রি ইরুয়েটি, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিচালক মো: নূর খান ও ফাহমিনা রহমান৷ ইউপিডিএফ-এর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক প্রদীপন খীসা, কেন্দ্রীয় সদস্য উজ্জ্বল স্মৃতি চাকমা, খাগড়াছড়ি উপজেলা সমন্বয়ক কালোপ্রিয় চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি অংগ্য মারমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রীনা দেওয়ান।

সাক্ষাতকালে ইউপিডিএফ-এর প্রতিনিধিবৃন্দ এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সফরকারী দলের কাছে পার্বত্য চট্টগ্রামে মানবাধিকার লক্সঘনের চিত্র তুলে ধরে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রতিনিয়ত গণতান্ত্রিক ও সংবিধান-স্বীকৃত মৌলিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে। খাগড়াছড়িতে সভাসমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে৷ ইউপিডিএফ-কে গণতান্ত্রিকভাবে কার্যক্রম চালাতে দেয়া হচ্ছে না, সমপ্রতি কুদুকছড়িস্থ রাঙামাটি জেলা ইউনিট কার্যালয়সহ পার্টির বেশ কয়েকটি শাখা অফিস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং লক্ষ্মীছড়িতে “বোরখা পার্টি” নামে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপকে ইউপিডিএফ-এর বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেয়া হয়েছে৷ ইউপিডিএফ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলোর ওপর রাজনৈতিক নিপীড়ন এমন চরম আকার ধারণ করেছে যে কৃতি ছাত্রছাত্রীদের জন্য সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান পর্যন্ত করা যাচ্ছে না। হামলা চালিয়ে তা ভন্ডুল করে দেয়া হচ্ছে।

এছাড়া, ভূমি সমস্যা, আঞ্চলিক পরিষদ এবং পূর্ণস্বায়ত্তশাসনসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে এ্যামেনেস্টির প্রতিনিধিবৃন্দের সাথে ইউপিডিএফ নেতৃবৃন্দের আলোচনা হয়।

এ্যামনেস্টি প্রতিনিধির কাছে নেতৃবৃন্দ একটি লিখিত বিবৃতি দেন যেখানে মানবাধিকার লক্সঘন বন্ধসহ ৬ দফা পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সরকারের কাছে দাবি জানাতে অনুরোধ করা হয়৷ এ পদক্ষেপগুলো হলো: পার্বত্য চট্টগ্রামে নারী নির্যাতনসহ মানবাধিকার লক্সঘন বন্ধ করা; সভা-সমাবেশের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া ও ইউপিডিএফ-এর ওপর রাজনৈতিক নিপীড়ন বন্ধ করা; হাইকোর্টের বিচারপতির নেতৃত্বে লংগুদু হামলার স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের নির্দেশ দেয়া, অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা এবং ক্ষতিগ্রস্তদেরকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান করা; ভূমি বেদখল বন্ধ করা, বেদখলকৃত জমি ফেরত দান ও পাহাড়িদের প্রথাগত ভূমি আইনের স্বীকৃতি দেয়া; সেটলারদের পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরে পুনর্বাসনের জন্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য গ্রহণে রাজী হওয়া,এবংসেনাবাহিনীকে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সরিয়ে নেয়া।

এ্যামেনেস্টির প্রতিনিধিবৃন্দ পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানান এবং এ ব্যাপারে ইউপিডিএফ-এর কাছ থেকে সহযোগিতা পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তারা মিছিল ও সভা-সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়ে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের সাথে আলোচনা করবেন বলে জানান।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More