পার্বত্য চট্টগ্রাম পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন আন্তর্জাতিক কমিশন
সিএইচটিনিউজ.কম ডেস্ক:
সৌজন্যে: প্রথম আলো
চলমান ঘটনাবলিসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের সামগ্রিক পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন আন্তর্জাতিক পার্বত্য চট্টগ্রাম কমিশন। গত পাঁচ বছরে সেখানে অন্তত ১০টি সাম্প্রদায়িক হামলা হয়েছে। গত বছর ধর্ষণ, হত্যা, অপহরণসহ নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে কমপক্ষে ৩৪টি। সেনা হেফাজতেও মৃত্যু হয়েছে একজনের।
গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে কমিশন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে বলা হয়, রাঙামাটিতে নতুন মেডিকেল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে যে ঘটনা ঘটেছে তাতে প্রমাণিত যে আদিবাসীরা নির্ভয়ে তাদের কোনো কর্মসূচি গ্রহণ ও পালন করতে পারছে না। সুযোগ পেলেই সেখানে জাতিগত সংঘাত সৃষ্টি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, একদিকে ভূমি কমিশন অকার্যকর করে রেখে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অনুযায়ী ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি করা হচ্ছে না। অন্যদিকে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের নামে এবং বিজিবি ও সেনা বাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনা তৈরির জন্য আদিবাসীদের উচ্ছেদ করে জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। ভূমিদস্যুদের জবর দখলও চলছে। এসব ভূমিদস্যুর মধ্যে ক্ষমতাবান বিভিন্ন ব্যক্তি যেমন আছেন, তেমনি আছে বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানি, সংস্থা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন কমিশনের সদস্য স্বপন আদনান। কমিশনের কো-চেয়ার সুলতানা কামাল বলেন, এমন সব এলাকায় জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে যেখানে দীর্ঘকাল ধরে আদিবাসীদের বসবাস ও চাষাবাদ চলে এসেছে। সীমান্ত পাহারার দায়িত্ব যে বিজিবির তাদের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে শহরের মাঝখানে, সেখানকার বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করে।
এক বছরে নারী নির্যাতনের ৩৪টি নিশ্চিত ঘটনা উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এর মধ্যে চারটি ধর্ষণের পর হত্যা, ১৩টি ধর্ষণ, ১৫টি ধর্ষণের চেষ্টা, একটি অপহরণ ও একটি অপহরণের চেষ্টা।
কমিশনের সদস্য ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দু-একটি ছাড়া এসব অপরাধে শাস্তির নজির নেই। কমিশনের আরেক সদস্য আইনজীবী সারা হোসেন বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসীদের মৌলিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আট দফা সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
—————–
সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।