পার্বত্য ভূমি কমিশন আইন সংশোধন বিষয়ে বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিক্রিয়ায় নাগরিক কমিটির উদ্বেগ প্রকাশ

0
রাঙামাটি প্রতিনিধি
সিএইচটিনিউজ.কম
পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন ২০০১ সংশোধন বিষয়ে  প্রচার মাধ্যমের বিভিন্নমুখী রিপোর্ট এবং বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিক্রিয়ায় পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।আজ ৯ জুন রবিবার নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ানের স্বাক্ষরিত সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক প্রেস বার্তায় এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

প্রেস বার্তায় বলা হয়, ৩০ জুলাই ২০১২ আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদের নেতৃত্বাধীন  আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় পার্বত্য  চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন ২০০১ সংশোধন বিষয়ে ঐক্যমত হলেও তৎপরবর্তী দু’টি অধিবেশন হয়ে গেলেও জাতীয় সংসদে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন সংশোধনের জন্য উত্থাপিত হয়নি, এমনকি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সভা বিবরণী পর্যন্ত তৈরি করা হয়নি।  সরকারের মধ্য থেকেই সংশোধনী বিষয়ে লিখিতভাবে প্রবল আপত্তি জানানো হয়েছে বলে প্রেস বার্তায় উল্লেখ করা হয়।

প্রেস বার্তায় আরো বলা হয়, শেষ সময়ে হলেও সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। তবে কোন কারণে যদি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের ব্যত্যয় ঘটে তাহলে তা পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ মেনে নেবে না এবং এর দায়দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।

প্রেস বার্তায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, বিগত ২৭ মে  অনুষ্ঠিত মন্ত্রীসভার বৈঠকে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন ২০১৩ এর খসড়া অনুমোদনকে কেন্দ্র করে পার্বত্য চট্টগ্রামের একটি মহল যেভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে, হরতাল-অবরোধ ডাকছে তাতে আমরা উদ্বিগ্ন। পার্বত্য চট্টগ্রামে কারা সর্বস্ব খুইয়ে নিঃস্ব ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছে, এক লক্ষের মত আদিবাসী পরিবার (ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী ও আভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু)  এখনও তাদের  জমি-জমা, বাস্তুভিটা হারিয়ে সরকারী সংরক্ষিত বনাঞ্চলে মানবেতর জীবন যাপন করছে তা সর্বজন বিদিত। কিন্তু সর্বস্ব হারানো এসব মানুষদেরই প্রতিপক্ষ বানিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে যারা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে তারাই এখন আবারো ঘোলাজলে মাছ শিকার তৎপর হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে।

প্রেস বার্তায় পার্বত্য চট্টগ্রামে কথিত মহলটির অপতৎপরতার লাগাম টেনে ধরা এবং পার্বত্য চুক্তি বাস্তাবয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
—-

 

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More