পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের গুইমারা উচ্চ বিদ্যালয় শাখার ৫ম কাউন্সিল সম্পন্ন

0

সিএইচটিনিউজ.কম
PCP flag2গুইমারা : “শিক্ষা হোক অধিকার আদায়ের হাতিয়ার, শাসক গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্র বিভ্রান্ত না হয়ে সকল জাতিসত্তার সমান মর্যাদা ও অধিকার আদায়ের সংগ্রামে এগিয়ে এসো ছাত্র সমাজ” এই শ্লোগানের আজ মঙ্গলবার(১০ই মার্চ ) সকাল ১০ টায় গুইমারা সদরে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পার্বত্য পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) গুইমারা উচ্চ বিদ্যালয় শাখার ৫ম কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কাউন্সিল অধিবেশনের পিসপি’র গুইমারা উচ্চ বিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক উক্রাচিং মারমার সভাপতিত্বে সন্তোষ চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পিসিপি খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ শাখা সহ-সাধারণ সম্পাদক জেসীম চাকমা, পিসিপি গুইমারা উপজেলা শাখা সভাপতি সমর জ্যোতি চাকমা, পিসিপি মাটিরাংগা উপজেলা শাখার সভাপতি অমল ত্রিপুরা প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বিশ্বের যে কোন ছাত্র সমাজ শিক্ষাকে অধিকার আদায়ের হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছিল। কিন্তু আমাদের দেশের সরকার শাসক শ্রেণী শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি না করে ছাত্র সমাজের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের নেশা দ্রব্য ঢুকিয়ে দিয়ে মশগুল রাখার চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। ছাত্র সমাজ তাদের ন্যায্য দাবি নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করলে তাদেরকে হুমকি, হয়রানিমূলক মামলা, হামলার ভয় দেখিয়ে দমিয়ে রাখার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। ছাত্রদের গণতান্ত্রিক মিছিল, মিটিংয়ের নিষেধাজ্ঞা জারি করে নগ্ন হস্তক্ষেপ করছে । এই পরিস্থিতিতে ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলনে সংগ্রামে সামিল হতে হবে।

বক্তারা আরো বলেন, ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারীকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরে ২০০০ সাল থেকে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ সহ ৬টি সংগঠন নিজ নিজ মাতৃভাষা প্রাথমিক শিক্ষা লাভের অধিকার নিশ্চিত সহ শিক্ষা সংক্রান্ত ৫ দফা দাবি সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছে । কিন্তু এখনো পর্যন্ত সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি জাতিসত্তাসহ সারাদেশে সংখ্যালঘু জাতিসত্তার নিজ ভাষায় পড়ালেখার বন্দোবস্ত করেনি। বক্তারা ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য ছাত্র সমাজকে আরো বেশি সোচ্চার ও প্রতিবাদী হয়ে আগামী দিনে লড়াই সংগ্রামে পিসিপি’র পতাকা তলে সমবেত হাওয়ার জন্য আহব্বান জানান।

বক্তারা দিঘীনালায় ছাত্র লীগের বখাটে মোঃ সোহেলসহ ৪ জন সেটলার কর্তৃক ১০ম শ্রেণীর এক পাহাড়ি স্কুল ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি নারীরা স্কুল, কলেজ, ঘরের বাহিরে কিংবা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে কোথাও নিরাপদ নয় । সরকার প্রশাসন সেই সব ঘটনার সঠিক বিচার ও ধর্ষণের সঠিক মেডিক্যাল রিপোর্ট প্রকাশ না করায় বার বার এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। তারা অবিলম্বে ধর্ষক সোহেলসহ তার সাথে জড়িতদেরকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান ।

শেষে উপস্থিত সকলের সর্বসম্মতিক্রমে উক্রাচিং মারমাকে সভাপতি, ক্যাজাই মারমাকে সাধারণ সম্পাদক ও ধনু মারমাকে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করে সাধারণ সদস্য সহ ২৩ সদস্য বিশিষ্ট্য একটি নতুন কমিটি গঠন করা হয় ।
———————–

সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More