ডেইলি স্টার রিপোর্ট

পাহাড়ে পানি সংকট, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কোটি টাকার বাঁধ

0
বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের পানির চাহিদা মেটাতে ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে বাঁধ নির্মাণ করেছে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ। ছবি: ডেইলি স্টার

অনলাইন ডেস্ক ।। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুর্গম পার্বত্য চট্টগ্রামে তীব্র পানি সংকটের কারণে যখন পাহাড়ে বসবাসরত অনেক জনগোষ্ঠী তাদের প্রাচীন পাড়া ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন, তখন পাহাড়ে নির্মাণাধীন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পানির চাহিদা মেটাতে এক কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে বাঁধ নির্মাণ করেছে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ।

বান্দরবান জেলা সদরের সুয়ালক ইউনিয়নে নির্মাণাধীন বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এই বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে।

বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এর ওয়েবসাইটে ‘বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়’ বিভাগে অন্তর্ভুক্ত।

ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক ড. মো. ফখরুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, যা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এটি একটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ বিশ্ববিদ্যালয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়কমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা এবং মন্ত্রীর শ্যালক ক্য শৈ হ্লা, যিনি বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সহযোগী প্রতিষ্ঠাতা।

বাঁধ নির্মাণের এলাকায় গিয়ে দেখা যায় পাহাড় কেটে মাটি ভরাট করে এর দুপাশে দুটো রিটেইনিং ওয়াল এবং একটি ড্রেন তৈরি করে বাঁধটি নির্মাণ করা হয়েছে।

প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী মং ওয়াইচিং মারমা বলেন, “বাঁধ তৈরিতে এক কোটি ৩৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। যদিও এখন পানি খুবই কম, আশা করছি ভবিষ্যতে সেখানে পানি থাকবে।’

যদিও প্রকল্পের নাম উল্লেখ হয়েছে ‘বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ে পানীয় জলের সুবিধার্থে বাঁধ নির্মাণকরণ’ এই বিষয়ে মং বলেন ‘সুয়ালক ইউনিয়ন এলাকায় নির্মাণাধীন এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই এই প্রকল্প নিয়েছেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।’

একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে জেলা পরিষদ এতো টাকার প্রকল্প নিতে পারে কিনা জানতে চাইলে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এ টি এম কাউছার হোসেন বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে আমরা এই প্রকল্পটি নিয়েছি।’

এ বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ড. শেখ মো. রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘এই বিষয়ে আমি কিছুই জানি না, বিস্তারিত জেনে কথা বলতে হবে।’

সূত্র: ডেইলি স্টার

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More