পিসিপি’র কাউখালী কলেজ শাখা কমিটি গঠিত

0
কাউখালী প্রতিনিধি
সিএইচটিনিউজ.কম
রাঙামাটি জেলার কাউখালী উপজেলা সদরে আজ ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার  এক আলোচনা সভার মাধ্যমে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি)-এর কাউখালী কলেজ শাখা কমিটি গঠন করা রয়েছে।
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ও অনুমোদক্রমে গঠিত ১৭ সদস্য বিশিষ্ট উক্ত কমিটিতে রূপান্তর চাকমাকে সভাপতি, অংপাথুই মারমাকে সাধারণ সম্পাদক এবং অমর বিকাশ চাকমাকে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।
“তাইন্দং-এ সংঘটিত সাম্প্রদায়িক হামলা ও ভূমি বেদখলের প্রতিবাদে সোচ্চার হোন- প্রতিক্রিয়াশীল-সুবিধাবাদী-ধান্ধাবাজদের মুখোশ উন্মোচন করুন” এই ব্যানার শ্লোগানের ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন রূপান্তর চাকমা। সভায় আলোচনা করেন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ) এর সংগঠক রাখেল তঞ্চঙ্গ্যা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কাউখালী থানা শাখার সভাপতি অর্জন চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় সহ সাধারণ সম্পাদক রূপন মারমা, পিসিপি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি জুপিটার চাকমা, পিসিপি রাঙামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অনিল চাকমা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সঞ্জু চাকমা ও সভা পরিচালনা করেন রূপন চাকমা।
আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ সকল বাধা বিপত্তি, সুবিধাবাদিতা ও শাসকশ্রেণীর রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে পূর্ণস্বায়ত্তশাসন আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের পতাকাতলে সমবেত হবার জন্য ছাত্র সমাজের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, একমাত্র আপোষহীনভাবে লড়াই সংগ্রাম করেই অধিকার আদায় করা সম্ভব, কোনো দালালী-সুবিধাবাদীতা ও প্রতিক্রিয়াশীল ভূমিকা নিয়ে নিপীড়িত জাতি অধিকার আদায় করতে পারেনি। নেতৃবৃন্দ আন্দোলনকে পিছন থেকে ধ্বংস করে দেয়া দালাল-সুবিধাবাদীদের বিষয়ে সচেতন থাকার জন্য ছাত্রসমাজের প্রতি আহ্বান জানান।
নেতৃবৃন্দ তাইন্দং-এ গত ৩ আগস্ট সংঘটিত সাম্প্রদায়িক হামলা-অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের তীব্র নিন্দা জানান এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সরকার কর্তৃক পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করার দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম এখন জীবন্ত অগ্নিগিরির মতো হয়ে উঠছে, এবং এতে ইন্ধন রয়েছে শাসকগোষ্ঠীর। পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিকারহারা নিপীড়িত জুম্ম জনগণ অর্থনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিকসহ সকল দিক থেকে যেন পিছিয়ে থাকে তার জন্য শাসকশ্রেনী নানা ধরনের চক্রান্তের জাল বিছিয়ে রেখেছে। কোথাও জুম্ম জনগণ মাথা তুলে দাঁড়াবার চেষ্টা করলেই তাইন্দং হামলার মতো ঘটনা ঘটিয়ে জুম্মদের নিঃস্ব পঙ্গু করে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। নেতৃবৃন্দ অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, এই ধরণের হামলা কমতে থাকবে যদি সরকার তাইন্দং হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করে দেয়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ছাত্র সমাজই একটি জাতির ভবিষ্যত। নিপীড়িত পার্বত্য জুম্ম জনগণকে দিশা দেখানোর জন্য ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হতে আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।
—–

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More