পিসিপি’র দীঘিনালা উপজেলা শাখার কাউন্সিল সম্পন্ন
দীঘিনালা: ‘পূর্ণস্বায়ত্তশাসনই পার্বত্য চট্টগ্রামের একমাত্র রাজনৈতিক সমাধান’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) এর দীঘিনালা উপজেলা শাখার ৮ম কাউন্সিল সম্পন্ন হয়েছে। এতে ১৯ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি গঠন করা হয়।
’পলায়নবাদী, সুবিধাবাদী, অর্পিত দ্বায়িত্বপালনে অক্ষম, নীতিহীন, দোদুল্যমান চরিত্র সম্পন্ন কর্মীদের মূখোশ উন্মোচন করুন, সকল দূর্বলতা সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে শোষিত-নির্যাতিত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে আত্মনিবেদিত হোন!’ এই আহ্বানে আজ শুক্রবার (১৫ জুলাই) সকাল ১০টার সময় দীঘিনালা ইউনিয়নের বানছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে কাউন্সিলের অনুষ্ঠান শুরু হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যারা এযাবৎ শহীদ হয়েছেন তাদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
পিসিপি দীঘিনালা উপজেলা শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক জীবন চাকমার সঞ্চালনায় কাউন্সিল অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন দীঘিনালা উপজেলা শাখার সভাপতি জহেল চাকমা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, দপ্তর সম্পাদক সুমেজ চাকমা। আরো উপস্থিত ছিলেন ইউপিডিএফ-এর দীঘিনালা ইউনিটের সংগঠক সুকীর্তি চাকমা, পিসিপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সাস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অংকন চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা সভাপতি রতন স্মৃতি চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম দীঘিনালা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সজীব চাকমা প্রমূখ।
কাউন্সিল অধিবেশনে বক্তারা বলেন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে জন্ম হয়েছে তাই, পার্বত্য চট্টগ্রামে কোন অন্যায় সহ্য করা হবেনা। পার্বত্য চট্টগ্রামে নির্যাতনের মাত্রা দিন দিন বেড়ে চলেছে। সরকার মিলিটারি বাহিনী দিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোনরত সংগঠনের নেতা কর্মীদের অন্যায়ভাবে ধরপাকড় করছে। সংগঠনের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। শুধু পার্বত্য চট্টগ্রামে নয় সারা বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থা এখন খুবই নাজুক। সরকার জনগনের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করে ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছে, এখন কেউ মূখ খুলে সরকারকে সমালোচনা করতে পারেনা, অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারেনা, রুদ্ধ করে রাখা হয়েছে গণতন্ত্রকে।
তাই, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদকে সকল দূর্বলতা ও সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে সকল গণতান্ত্রিক শক্তিকে একত্র করে শোষিত-নির্যাতিত গণ মানুষের মুক্তির জন্য দৃঢ়ভাবে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।
সরকারের প্রতি আহ্বান রেখে বক্তারা বলেন, আপনারা বাংলাদেশের অস্তিত্ব রক্ষা করতে যদি চান তাহলে এখনি সুশাসন কায়েম করুন, গণতান্ত্রিক অধিকার জনগনের হাতে দিন। ছলচাতুরি, ষড়যন্ত্র করে নিরীহ মানুষদের গ্রেপ্তার হয়রানি করে দেশকে অপশাসনে ভাসিয়ে দেবেন না।
অতিথিবৃন্দের বক্তব্য শেষে সর্বসম্মতিক্রমে নীকেল চাকমাকে সভাপতি, জীবন চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক ও অনীল চাকমাকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১৭ জন কার্যকরি সদস্য ও ২জন বিশেষ সদস্য করে ১৯ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি গঠন করা হয়।
————–
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।