পূর্ণস্বায়ত্তশাসন দিবসে কুদুকছড়িতে তিন সংগঠনের মিছিল
রাঙামাটি : “পূর্ণস্বায়ত্তশাসনই পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী সমাধানের গ্যারান্টি” এই শ্লোগানে এবং অর্থ, প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র ও ভারী শিল্প ব্যতীত সকল ক্ষমতা পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের নিকট হস্তান্তর করার দাবি জানিয়ে পূর্ণস্বায়ত্তশাসন দিবস উপলক্ষে রাঙামাটির কুদুকছড়িতে মিছিল করেছে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন।
শনিবার (১০ মার্চ ২০১৮) বেলা ২টায় বড় মহাপূরণ উচ্চ বিদ্যালয় গেট থেকে একটি প্রচার মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি কুদুকছড়ি বাজার প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এক সমাবেশ করে।
এতে পিসিপি রাঙামাটি জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক আসেন্টু চাকমার সঞ্চালনায় গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি ধর্মশিং চাকমার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পিসিপি’র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অনিল চাকমা, রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি কুনেন্টু চাকমা,পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ সাধারণ সম্পাদক কাজলী ত্রিপুরা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন রাঙামাটি জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক দয়াসোনা চাকমা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের কোন বিকল্প নেই। সরকার অঞ্চলে স্বায়ত্বশাসন প্রদান করলে পরে জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকারসহ সকল মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
এ সময় বক্তারা পার্বত্য চুক্তির মাধ্যমে সরকার এ অঞ্চলের জনগণকে প্রতারণা করেছে বলে উল্লেখ করে বলেন, এ চুক্তি পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। জুম্ম জনগণ তাদের অধিকার ফিরে পায়নি।
সরকার তার নীল নকশা অনুযায়ী পার্বত্য অঞ্চলে প্রতিনিয়ত ধরপাকড়, মিথ্যা মামলা, পাহাড়িদের ঘরবাড়ির উপর হামলা, ভূমি দখল, খুন-ধর্ষণসহ নানাভাবে জোর জুলুম করছে বলে বক্তারা অভিযোগ করেন। তারা বলেন, পাহাড়ে যখন নারীদের ধর্ষণ ও খুন করা হয় এবং এর পর যদি পাহাড়ি জনগণ এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে তখন সরকারের নিরাপত্তা ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দ্বারা বাধা দেওয়া হয়। যার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে নারী নির্যাতনসহ জনগণের ওপর দমন-পীড়ন দিন দিন বেড়েই চলছে। তারা গত ৭ মার্চ খাগড়াছড়িতে তিন সংগঠনের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে সেনাবাহিনী কর্তৃক হামলার ঘটনা তুলে ধরেন।
সরকার পাহাড়িদের অস্তিত্বকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্র করছে উল্লেখ করে বক্তারা এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
বক্তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় সাংবিধানিক গ্যারান্টিসহ পূর্ণস্বায়ত্তশাসন প্রদান ও অন্যায় জুলুম-নির্যাতন বন্ধের দাবি জানান।
——————
সিএইচটিনিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।