প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের
ডেস্ক রিপোর্ট
সিএইচটিনিউজ.কম
জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল সভাপতি বদরুদ্দীন উমর ও সম্পাদক ফয়জুল হাকিম দেশের বর্তমান দুর্যোগপূর্ণ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আজ ২ ডিসেম্বর সোমবার সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেছেন, আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের শাসক-শোষক শ্রেণী আজ স্পষ্টতঃ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। তাদের দ্বন্দ্ব সংঘাত তীব্র হয়ে ওঠেছে যার কোনো রাজনৈতিক সমাধান যেমন সম্ভব হচ্ছে না, তেমনি তাদের মধ্যে সমঝোতারও কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে দেশের শিল্প-বাণিজ্য আজ হুমকির মুখে, দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, ভেঙে পড়েছে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা, জনজীবন চরম নিরাপত্তাহীন ও দুর্বিষহ। দেশের এই অবস্থা অনির্দিষ্টকাল চলতে পারে না।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের যে কথা শাসকচক্র বলছে তা বর্তমান পরিস্থিতিতে আর সম্ভব নয়। ভোটারদের শতকরা ১০ ভাগও ভোটকেন্দ্রে যাবে না। আর এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন করতে গেলে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটবে। ফলে এই নির্বাচনের গ্রাহ্যতা দেশের জনগণের কাছে যেমন থাকবে না, তেমনি এই শাসকচক্রের যারা প্রভু রাষ্ট্র তাদের কাছেও থাকবে না। এই অবস্থা বাংলাদেশের শাসক-শোষক শ্রেণীও চলতে দিতে পারে না।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে থাকেন যে তিনি সেনাশাসনের বিরোধী। কিন্তু তিনি যেভাবে নির্বাচন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন সেটা অচলাবস্থা সৃষ্টি করে সেনাবাহিনী কর্তৃক ক্ষমতা দখলের শর্ত তৈরী করছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের একটিই পথ আছে, আর তা হলো প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ। যদি শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ না করেন তাহলে তা সমাজ ও দেশের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবং শোষক-শাসক শ্রেণীর শাসন অব্যাহত রাখতে সামরিক বাহিনী কর্তৃক ক্ষমতা গ্রহণকে অনিবার্য করে তুলবে। সেক্ষেত্রে দেশে সামরিক শাসন প্রতিষ্ঠার দায়ভার শেখ হাসিনা ও তাঁর বর্তমান সরকারের ওপরই বর্তাবে। সুতরাং, প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ করাই একমাত্র শর্ত যা বর্তমান সংঘর্ষের পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে পারে এবং দেশে সামরিক শাসন প্রতিষ্ঠার মতো পরিস্থিতি এড়াতে পারে। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)।