প্রশাসনে বাধার মুখে বান্দরবানে ইউপিডিএফের সমাবেশ

0

সিএইচটি নিউজ ডটকম
Bandarban2বান্দরবান : প্রশাসনের বাধার মুখে ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বান্দরবানে সমাবেশ করেছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ)।

পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ ৩ জানুয়ারি ২০১৬ রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বান্দরবান সদরের বালাঘাটা বাজারের তিন রাস্তার মোড়ে সমাবেশ করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। ফলে সেখানে সমাবেশ করতে না পেরে সকাল ১১টার সময় ইউপিডিএফ’র জেলা কার্যালয়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বান্দরবান জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন অংশগ্রহণ করেন।

জাতীয় অস্তিত্ব রক্ষার্থে ইউপিডিএফ-এর পতাকাতলে সমবেত হোন’ এই আহ্বানে ইউপিডিএফ’র বান্দরবান জেলা ইউনিটের প্রধান সংগঠক ছোটন কান্তি তঞ্চঙ্গ্যার সভাপতিত্বে ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের নেতা উচিংশৈ চাক শুভ’র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ইউপিডিএফের অন্যতম সংগঠক অলকেশ চাকমা, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি ও জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় নেতা সামিউল আলম প্রমুখ।

বক্তারা প্রশাসনের বাধার নিন্দা জানিয়ে বলেন, গত ২৬ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি পালনের জন্য প্রশাসনের অনুমতি চাইলে তারা পৌরসভা নির্বাচনের কারণ দেখিয়ে অনুমতি দেয়নি। ফলে সমাবেশের তারিখ পরিবর্তন করা হয়। কিন্তু আজও সমাবেশ আয়োজনে বাধা দিয়ে প্রশাসন গণতান্ত্রিক অধিকারের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ করেছে। এর মাধ্যমে প্রশাসন ও সরকারের ফ্যাসিস্ট চরিত্র আবারো উন্মোচন হয়ে পড়েছে।

বক্তারা বলেন, তথাকথিত উন্নয়ন ও পর্যটনকেন্দ্র  স্থাপনের নামে এবং সরকারের মন্ত্রী-এমপি, সেনা কর্মকর্তা ও বহিরাগত ভূমি দস্যু কর্তৃক বান্দরবানে হাজার হাজার একর ভূমি বেদখল করা হয়েছে। প্রতিনিয়ত পাহাড়িদের নিজেদের ভূমি ও বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। ফলে পাহাড়িদের অস্তিত্ব আজ চরম হুমকির মুখে পড়েছে। এ অবস্থা আর কিছুতেই চলতে দেয়া যায় না। এর বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। বক্তারা ইউপিডিএফের পতাকাতলে সমবেত হয়ে জাতীয় অস্তিত্ব রক্ষায় পূর্ণস্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম বেগবান করার আহ্বান জানান।

সমাবেশ থেকে বক্তারা অবিলম্বে সভা সমাবেশের ওপর বিধি নিষেধ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত অগণতান্ত্রিক ১১নিদেশনা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।

সমাবেশের পর বালাঘাটা বাজারে এক র‌্যালির আয়োজন করা হয়।
————–

সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More