প্রয়াত অনন্ত বিহারী খীসার দাহক্রিয়া সম্পন্ন

0
অনন্ত বিহারী খীসা। ফাইল ছবি

খাগড়াছড়ি ।। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ইউপিডিএফ সভাপতি প্রসিত বিকাশ খীসার পিতা প্রয়াত অনন্ত বিহারী খীসার দাহক্রিয়া আজ শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১) ধর্মীয় ও সামাজিক আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।

শ্মশানে দাহক্রিয়ার আগে তাঁর পারলৌকিক সদগতি কামনায় এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে ভিক্ষুসংঘ ধর্মীয় দেশনা প্রদান করেন।

এরপর বেলা ২টার সময় অনন্ত মাষ্টার পাড়া শ্মশানে সামাজিক নিয়মানুসারে তাঁর দাহক্রিয়া অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ যোগদান করেন।

ধর্মীয় ও দাহক্রিয়া অনুষ্ঠানের আগে সকাল থেকে ইউপিডএফের বিভিন্ন ইউনিট ও পরিবারবর্গ, নানা সংগঠন ও ব্যক্তি বিশেষে তাঁর মরদেহে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

প্রসঙ্গত, গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২:৪৫টায় নিজ বাড়িতে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অনন্ত বিহারী খীসা। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়। তাঁর মৃত্যুতে বিভিন্ন ব্যক্তি, সংগঠন শোক প্রকাশ করেন ও তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

অনন্ত বিহারী খীসা ছাত্র জীবনে ছাত্র রাজনীতিসহ নানা প্রগতিশীল কাজে যুক্ত ছিলেন। ১৯৫৬ সালে তার নেতৃত্বে চট্টগ্রামের কানুনগো পাড়ার শ্রীপুর গ্রামে এক ছাত্র-অভিভাবক সম্মেলনের মাধ্যমে Chittagong Hill Tracts Students’ Association গঠিত হয়।

এরপর তিনি প্রগতিশীল বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত থেকেছেন। মোট কথা তিনি জাতীয় চেতনা বিকাশে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

পরে তিনি শিক্ষকতার পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করেন এবং শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।  তিনি ১৯৬০ সালের ২০ এপ্রিল খাগড়াছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত ওই বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক ও সহকারি প্রধান শিক্ষক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৫ সাল থেকে ৮৮ সাল পর্যন্ত তিনি সিলেটের কানাইঘাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সেখান থেকে বদলি হয়ে ১৯৮৮ সাল থেকে ৯৫ সাল পর্যন্ত খাগড়াছড়ির রামগড় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে ‘৯৫ সালের ১ নভেম্বর তিনি অবসরে যান।

শিক্ষকতা থেকে অবসর গ্রহণের পর থেকে আমৃত্যু তিনি বুদ্ধিবৃত্তিক ও সমাজসেবামূলক নানা কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন। বলা যায়, তিনি একজন জাতীয় অভিভাবকের ভূমিকা পালন করে গেছেন।

আজকে তাঁর দাহক্রিয়া অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়েই জনগণ এক যোগ্য অভিভাবককে অশ্রুজলে চির বিদায় জানালো।

 


সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More